English Version
আপডেট : ৩০ মে, ২০১৮ ১০:৪৭

জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। ১৯৮১ সালের এই দিনে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে তিনি নিহত হন। সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

বিএনপি ছাড়াও সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারা এসব কর্মসূচির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের জেড ফোর্সের অধিনায়ক ও অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবেন।   জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০টায় জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে দরিদ্রদের মধ্যে কাঙালি ভোজ ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন।

এ ছাড়া মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অসহায় দুস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও কাপড় বিতরণ করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

২৫ মে থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিগুলো চলবে আগামী ৫ জুন পর্যন্ত। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও কবর প্রাঙ্গণে মিলাদ মাহফিল, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বইমেলা করবে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনগুলো।

  আজ নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ বুকে ধারন করবেন। মহানগরের প্রতিটি থানায় দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে কাপড় ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। ছাত্রদলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

বিভাগীয় শহরগুলোয় জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে মাজারে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ বিতরণ করবে।

উল্লেখ্য, ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তাঁর শৈশবের কিছুদিন কাটে বগুড়া ও কলকাতায়। ভারত বিভাগের পর রসায়নবিদ বাবার বদলির সুবাদে তিনি করাচি চলে যান।   করাচির একাডেমি স্কুল থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৫৩ সালে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদ লাভ করেন।

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে লাহোর সীমান্তের খেমকারান সেক্টরে ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভারতের আক্রমণ ঠেকিয়ে দেওয়ায় বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক উপাধি দেওয়া হয়।

জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। যুদ্ধকালে প্রথমে তিনি সেক্টর কমান্ডার ও পরে তাঁর নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে গঠিত জেড ফোর্সের নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার।

জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ২৫ আগস্ট চিফ অব আর্মি স্টাফ পদে নিয়োগ পান। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সায়েম পদত্যাগ করলে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন। এরপর ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর গঠন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি-বিএনপি।