English Version
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮ ১১:২০

মাঠে আওয়ামী লীগ, নীরব বিএনপি!

অনলাইন ডেস্ক
মাঠে আওয়ামী লীগ, নীরব বিএনপি!

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আবারও দেশের রাজনীতির হাওয়া উত্তপ্ত। বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা না হলেও এ বছরের শেষের দিকে যেহেতু নির্বাচন হওয়ায় কথা রয়েছে তাই মতপার্থক্য থাকা স্বত্তেও নিজ নিজ এলাকায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে সব দলের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করলেও এ বিষয়ে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নীরব। নির্বাচনকালীন সহায়র সরকারের নিশ্চয়তা পেলেই প্রচার-প্রচারণার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেবে দলটি।

আওয়ামী লীগের সূত্র মতে, টানা তৃতীয় বারের মত ক্ষমতায় আসতে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে দলটি। এবারের প্রচারণায় বর্তমান সরকারের উন্নয়ণমূলক কাজ ও বিএনপি জামায়াতের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনকে প্রচারণার অংশ হিসেবে নেবে দলটির নেতাকর্মীরা।

প্রাথমিকভাবে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সিলেট থেকে জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করবে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে আগামী ৩০ জানুয়ারি সিলেট যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২৬ জানুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগের ১৫টি সাংগঠনিক টিম নির্বাচনী সফরে জেলা-উপজেলায় যাবে। এছাড়া নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১২ লাখ পোলিং এজেন্টকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফরের পর আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বরিশালে যাবেন। এছাড়া ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত রাজশাহী, খুলনা, গাজীপুর, রংপুর সফর করবেন তিনি। এরপর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি জেলায় সফরে যাবেন শেখ হাসিনা।

অপর দিকে, দলীয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারণার তেমন সাড়া না পাওয়া গেলেও নিজেদের প্রস্তুতি শতভাগ বলে দাবি করনে বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

বিএনপি সূত্র মতে, বিএনপি নতুন কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তিনবার দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। দলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করার জন্য বেশি সময় লাগবে না। দেশের বেশিরভাগ মানুষই বিএনপির সঙ্গে আছে। তারা এ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পেতে চায়। জনগণ সরকার পরিবর্তনের একটা সুযোগ চায়। নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকারের নির্যাতন, জুলুম থেকে মুক্তি পেতে চায়।

এ বিষয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের জন্য সব সময় প্রস্তুত বিএনপি। তবে এ সরকারের অধীনে নয়। নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। যেখানে ভোটার তার গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করতে পারবে। সময় হলেই বিএনপি নির্বাচনী প্রচারণার ঘোষণা দেবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিডি২৪লাইভকে বলেন, সরকার শুধু একবার ঘোষণা দিক যে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। আমাদের সময় লাগবে না প্রচারণায় নামতে। নির্বাচনের আগে ছয় মাস সময়ই বিএনপির জন্য যথেষ্ঠ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী বিডি২৪লাইভকে বলেন, বিএনপি চায় সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। মাঠের কাজ ছাড়া নির্বাচনের পেপার ওয়ার্ক ৯০ শতাংশ শেষ। সারা দেশে বিএনপির ৬০ জন প্রতিনিধি ঘুরছে। এটাও নির্বাচনী প্রচারণার অংশ, আন্দোলনের অংশ। বিএনপি বসে নেই। সমস্ত পেপার রেডি। এমনকি নমিনেশনের ব্যাপারেও প্রস্তুত বিএনপি। এক সপ্তাহ সময় দিলেই বিএনপি প্রস্তুত। বিএনপি আরো প্রস্তুত এ কারণে- প্রচার প্রচরণায় বিএনপি যতদূর এগোবে তার থেকে আওয়ামী লীগের অপকর্মই বিএনপিকে বেশি এগিয়ে নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।