আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দাবি করেছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একেরপর এক পরিকল্পিত গুপ্তহত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বিশেষ করে ব্লগার বা সাংস্কৃতিক কর্মীদের ওপর আঘাত করা হচ্ছে। এটা সরকার সহজে নেবে না। এ বিষয়ে সরকার আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধীরা কেউ বাঁচতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

আজ মঙ্গলবার (২৬এপ্রিল) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে তিনি বলেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বিশেষ করে ব্লগার বা সাংস্কৃতিক কর্মীদের ওপর আঘাত হচ্ছে। এটা সরকার সহজে নেবে না। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারও ওপর আক্রমণ করে নয়, পরিকল্পিত এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। কেউ বাঁচতে পারবে না।

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ নির্বাচন হলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সেখানে কিছু কিছু ঘটনা আগেও ঘটেছে, এখনও ঘটছে। নির্বাচন শেষ হলে এটা মানুষ ভুলে যাবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দল লাভবান হচ্ছে, রাজনীতি লাভবান হচ্ছে, সংবিধান লাভবান হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'সারা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। আমাদের এখানেই ছিল ব্যতিক্রম। শুধু জাতীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে আর অন্য নির্বাচনগুলো নির্দলীয়- এটা সামরিক শাসকদের মাথা থেকে এসেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আনা।

ওলামা লীগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ আশরাফ বলেন, 'এখন অনেকেই আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে। ওলামা লীগ আমাদের কোন সহযোগী সংগঠন নয়। তারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিলে এটা তাদের বিষয়।'

এছাড়া সভায় বহুতল ভবন নির্মাণের স্বার্থে আগামী ৩০ মের মধ্যে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম ও অঙ্গ-সংগঠনকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তাদের অফিস অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য আহ্বান জানান সৈয়দ আশরাফ।

যৌথ সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম আমিনসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।