English Version
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০১৬ ১৫:১২

জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসে শফিক রেহমান অাটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসে শফিক রেহমান অাটক

সজীব ওয়াজেদ  জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসের ওপর ভিত্তি করে শফিক রেহমানকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি ‘মিথ্যা অভিযোগে’ আটক সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তি ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ‘অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর’ চক্রান্ত বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। একইসঙ্গে তিনি বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘কুৎসা রটনা’ থেকে বিরত থাকাসহ মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, আদালতে জমা দেওয়া মার্কিন সরকারের রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ কিংবা দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ নেই। তা সত্ত্বেও শুধু তার ফেসবুকে দেওয়া একটা পোস্টের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে এফআইআর হলো, গোপনে তদন্ত হলো, মামলা হলো এবং গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হলো।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার হওয়া মামলার অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেওয়া সরকারের লিখিত রিপোর্ট, অভিযুক্ত কিংবা সাক্ষীদের কোনো জবানবন্দি, মামলার রায় এমনকি ঢাকার রমনা থানায় দায়ের করা এফআইআর কিংবা পল্টন থানায় দায়ের করা মামলার কোথাও সাংবাদিক শফিক রেহমান, কারাবন্দি সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কিংবা বিএনপির কোনো নেতার নাম উল্লেখ নেই।

‘অথচ শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে, মাহমুদুর রহমানকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো এবং একই কাল্পনিক অভিযোগে দেশে-বিদেশে অবস্থান করা বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতা সম্পর্কে ইচ্ছামতো অভিযোগ করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।’

ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনদের দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনায় সেখানে বসবাসরত একজন বিএনপি নেতার পুত্র অর্থের বিনিময়ে এফবিআই এজেন্টকে কাজে লাগিয়েছিল এবং সেই অপরাধে তাদের জেল হয়েছে। তারা আরও বলছেন, এই হত্যা পরিকল্পনায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ছাড়াও ঢাকা, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন বিএনপি নেতা জড়িত।

ক্ষমতাসীনদের এই অভিযোগের জবাব দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমেরিকান নাগরিক রিজভী আহমেদ সিজারের বিরুদ্ধে আমেরিকান আদালতে যে মামলা হয়েছিল, তাতে ২০১১ সালে তিনি জয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার লক্ষ্যে একজন এফবিআই এজেন্টকে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে এক হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন এবং কিছু নথি পেয়েছিলেন। তার অপরাধ ছিল, সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়া। আর এফবিআই কর্মকর্তার অপরাধ ছিল ঘুষ নেওয়া ও বিনা অনুমতিতে সরকারি দলিল কোনো ব্যক্তি বিশেষকে হস্তান্তর করা।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির মাহমুদ খসরু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, সহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সহ দফতর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ।