বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান  বাঁশখালীর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন ‘যে দেশে গুলি করে পাখি শিকার করা আইনগতভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, আর সেখানে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে ৪ জন মানুষকে হত্যা করা করেছে।’

শনিবার বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ নির্মাণকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত স্বজনদের সান্ত্বনা ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে তিনি একথা বলেন।

নোমান বলেন, ‘যে দেশে গুলি করে পাখি শিকার করা আইনগতভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, আর সেখানে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে ৪ জন মানুষকে হত্যা করা করেছে।’ অবিলম্বে এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং এই কমিটির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গণ-শুনানি করে এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদেরকে শাস্তির ব্যবস্থা করারও দাবি জানান।

এ সময় তিনি হত্যাকাণ্ডে নিহত পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে বিশ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন এবং নিহতদের কবর জিয়ারত করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরাও উন্নয়নের বিপক্ষে নয়, কিন্তু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হতে হবে পরিকল্পিত।’ নোমান বলেন, ‘নিহত এবং আহতদের উপর্যুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এলাকার নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে যে তথ্য-উপাত্ত আমরা সংগ্রহ করেছি তা ঢাকায় গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবহিত করব এবং আমাদের দেশনেত্রী এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আমাদেরকে দিক-নির্দেশনা দেবেন।’

পরিদর্শনকালে নোমানের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, গন্ডামারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী, বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসাইন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা সাখাওয়াত জামাল দুলাল, অ্যাডভোকেট ইফতেখার মহসীন, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, বাঁশখালীর সাবেক পৌর মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইন, বিএনপি নেতা ইব্রাহীম চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ হালিম, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল আলম রাসেল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজউল্লাহ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুদ্দিন শহীদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী প্রমুখ।