English Version
আপডেট : ১ এপ্রিল, ২০১৬ ১২:২৩
আ'লীগ ৪২৯, বিএনপি ৫৭ এবং স্বতন্ত্র ৮৬

দ্বিতীয় ধাপেরও আ’লীগ বিপুল ব্যবধানে জয়ী

অনলাইন ডেস্ক
দ্বিতীয় ধাপেরও আ’লীগ বিপুল ব্যবধানে জয়ী
লোগো

দেশে প্রথমবারের মতো দলভিত্তিক এ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ১৭টি রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীরা অংশ নেন।  ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের ৬৩৯টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদ অনুসারে আওয়ামী লীগ ৪২৯, বিএনপি ৫৭ এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৮৬টিতে। এ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীরা সাতটিতে বিজয়ী হয়েছেন। সাতটি ইউপিতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। ৩১টি ইউপিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।   গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তবে মনোনয়নপত্র জমা ও যাচাই-বাছাই শেষে ৩১টি ইউপিতে ভোটের আগেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। একক প্রার্থী হিসেবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের আগেই বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।   এর আগে গত ২২ মার্চ প্রথম ধাপের ৭১২ ইউপিতে ভোট নেওয়া হয়। ইসির হিসাব অনুযায়ী প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭৭ ভাগ। এর মধ্যে আ'লীগ ৫৪ শতাংশ ও বিএনপি ১৭ শতাংশ ভোট পায়। চেয়ারম্যান পদে আ'লীগ মনোনীতরা ৫৪০টিতে বিজয়ী হন। এর মধ্যে ভোটের আগেই একক প্রার্থী হওয়ায় ৫৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিএনপি মনোনীতরা জয়ী হন ৪৭টি ইউপিতে এবং ১০৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হন।   বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়ার পর কেন্দ্রেই ভোট গণনা করা হয়। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিভিন্ন দল মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট দুই হাজার ৬৬২ প্রার্থী অংশ নেন। তবে গতকাল ভোট গ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলার সবক'টি ইউপিসহ দেশের অনেক স্থানের বিএনপি মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।   ঢাকার কেরানীগঞ্জের ১১ ইউনিয়নের সবক'টিতে আ'লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। হযরতপুরে আনোয়ার হোসেন আয়নাল, কলাতিয়ায় তাহের আলী, কালিন্দীতে গাজী মোজাম্মেল হোসেন, রুহিতপুরে আবদুল আলিম, তারানগরে মোশাররফ হোসেন ফারুক, জিনজিরায় সাপুর হোসেন সাকু, আগানগরে হাজি জাহাঙ্গীর শাহ খুশি, বাস্তায় আশকর আলী; কোন্ডায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফারুক চৌধুরী, শুভাঢ্যায় ইকবাল হোসেন, তেঘরিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাজি মো. জজ মিয়া জয়ী হয়েছেন।   নরসিংদী বেলাবোর আট ইউনিয়নেই আ'লীগ জয়ী হয়েছে। আমালাবোতে বশির আহমেদ পরশ, বাজনাবোতে খন্দকার মোখলেসুর রহমান, চরউজিলাবে আখতারুজ্জামান, বেলাবোতে মো. গোলাপ মিয়া, বিন্নাবাইদে গোলাপ মিয়া, নারায়ণপুরে মোসলেহ উদ্দিন খান সেন্টু, পাটুলিতে আদিলুজ্জামান ভূঁইয়া, সল্লাবাদে জাকির হোসেন স্বপন জয়ী হয়েছেন।   নরসিংদীর শিবপুরের সাত ইউনিয়নের সাত ইউনিয়নের ছয়টিতে আ'লীগ এবং একটিতে বিএনপি জয়ী হয়েছে। আ'লীগের জয়ী প্রার্থীরা হলেন-আয়ুবপুরে মুজিবুর রহমান, দুলালপুরে মিয়া হোসেন, যোশরে রাসেল আহমেদ, জয়নগরে মোহাম্মদ নাদিম সরকার, পুটিয়ায় ইলিয়াস, সাধারচরে মাসিফুল গণি সরকার। বাঘাবোতে তরুণ মৃধা জয়ী হয়েছেন।   শেরপুরের শ্রীবরদীর ছয় ইউনিয়ন পরিষদের দুটিতে আ'লীগ, দুটিতে বিএনপি ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সিংগাবরুনায় স্বতন্ত্র আবদুর রাজ্জাক মজনু, শ্রীবরদী আ'লীগের আবদুল হালিম, কুড়িকাহনীয়ায় বিএনপির নূরে আলম, গড়জরিপায় বিএনপির আবুল কালাম আজাদ, খরিয়াকাজীর চরে আ'লীগের এ বি এম শহীদুল্লাহ, কাকিলাকুড়ায় স্বতন্ত্র (আ'লীগ বিদ্রোহী) হামিদুল্লাহ তালুকদার।   শেরপুরের নকলার নয় ইউনিয়নের সবক'টিতে আ'লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। জয়ী প্রার্থীরা হলেন-গণপদ্দিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শামসুর রহমান আবুল, নকলায় আনিসুর রহমান সুজা, উরফায় রেজাউল হক হীরা, গৌড়দ্বার শওকত হোসেন খান মুকুল, বানেশ্বরীতে মাজহারুল আনোয়ার মোহাব্বত, পাঠাকাটায় মোহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাত, টালকিতে মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, চরঅষ্টধরে গোলাম রব্বানী, চন্দ্রকোনায় সাজু সাঈদ সিদ্দিকী। শেরপুর সদরে বেতমারীতে জয়ী হয়েছেন আ'লীগের আবদুল মজিদ মজু।   জামালপুর সদরের ১৫ ইউপির ১৩টিতে আ'লীগ ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আ'লীগের জয়ীরা হলেন-বাঁশচড়ায় আবদুল জলিল, দিপাইতে মিজানুর রহমান, ইটাইলে অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান শওকত, কেন্দুয়ায় মঞ্জু শেখ, লক্ষ্মীরচরে আফজাল হোসেন বিদ্যুৎ, মেষ্টায় জামিরুল তালুকদার, নরুন্দিতে মোহাম্মদ শাহজাহান, রানাগাছায় আবদুল জলিল, রশিদপুরে হাফিজুর রহমান ঠাণ্ডা, শরিফপুরে আলম মিয়া, শ্রীপুর আজিজুল হক, শাহবাজপুরে আইয়ুব আলী, তুলসীরচরে শহিদুর রহমান। জয়ী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন ঘোড়াধাপে দ্বীন আলম দিনু, তিতপল্লায় মোহাম্মদ সেলিম।   মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ১২ ইউনিয়নের পাঁচটিতে বিএনপি, চারটিতে আ'লীগ ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। জয়ীরা হলেন_চালায় আ'লীগের বিদ্রোহী শামসুল আলম বিশ্বাস, হারুকান্দিতে আ'লীগের বিদ্রোহী আসাদুজ্জামান, গালায় বিএনপির শফিক বিশ্বাস, বলরায় বিএনপির তরিকুল ইসলাম, সুতালরিতে আ'লীগের আবদুস সালাম, আজিমনগর আ'লীগের বিল্লাস হোসেন, ধলসরায় বিএনপির বিদ্রোহী জাহিদ খান, বয়রায় বিএনপির জাহিদুর রহমান তুষার, কাঞ্চনপুরে আ'লীগে ইউনূস কাজী, রামকৃষ্ণপুরে আ'লীগে কামাল হোসেন, গোপীনাথপুরে বিএনপির আবদুল কুদ্দুস, বালায় বিএনপির কাজী রেজা।   মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের আট ইউনিয়নের ছয়টিতে আ'লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। অপর দুটির একটিতে আ'লীগ ও একটিতে বিএনপি হয়েছে। জয়ীরা হলেন-বাঁচামারায় স্বতন্ত্র আবদুল লতিফ, বাঘুটিয়ায় স্বতন্ত্র তোফাজ্জল হোসেন, চকমিরপুরে স্বতন্ত্র শফিকুল ইসলাম, চরকাটারীতে স্বতন্ত্র আবদুল বারেক, কলিয়ায় স্বতন্ত্র জাকির হোসেন, জীয়নপুরে আ'লীগের বেলায়েত হোসেন, খলশীতে বিএনপির সাখাওয়াত জাহাঙ্গীর সেনা ও ধামচরে সাদিকুর রহমান রহমান।   টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও ভূঞাপুরের ১৩টির ১২টির ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আ'লীগের আটটি, স্বতন্ত্র (আ'লীগ বিদ্রোহী) দুটি, বিএনপি একটিতে জয়ী জয়েছে। জেলার ভূঞাপুরে নিকরাইলে আ'লীগের মতিন সরকার, গোবিন্দাসীতে বিএনপির মুস্তাফিজুর রহমান তালুকদার, অলোয়াতে আ'লীগের বিদ্রোহী রহিজ উদ্দিন আকন্দ, ফলদায় আ'লীগের সাইফুল ইসলাম তালুকদার দুদু, অর্জুনাতে আ'লীগের আয়ুব আলী মোল্লা, গাবসারাতে আ'লীগের মনিরুজ্জামান, মীর্জাপুরে হালিমুজ্জামান তালুকদার, আলমনগরে আ'লীগের আবদুল মোমেন, ঝাওয়াইলে আ'লীগের রফিকুল ইসলাম তালুকদার, হাদিরাতে আ'লীগের আবুল কাশেম, ধোপাকান্দিতে আ'লীগের আবদুল হাই, হেমনগরে আ'লীগের বিদ্রোহী রওশন খান আইয়ুব।   মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও সিরাজদীখানের ১৮টি ইউনিয়নের আ'লীগের ১২টি, বিএনপির দুটি ও স্বতন্ত্র চারটিতে পাস করেছেন। জেলার সিরাজদীখানের শেখরনগরে বিএনপির নজরুল ইসলাম, চিত্রকোটে আ'লীগের শামসুল হুদা বাবুল, রাজানগরে আ'লীগের বিদ্রোহী কামাল হোসেন, কেয়াইনে আ'লীগের আশরাফ আলী, শ্রীনগরের পাঠানকোটে আ'লীগের ফিরোজ আল মামুন, বাড়ৈখালীতে আ'লীগের বিদ্রোহী সেলিম তালুকদার, ভাগ্যকুলে আ'লীগের কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাত, ষোলঘরে আ'লীগের আজিজুল ইসলাম, কুকটিয়া স্বতন্ত্র বাবুল হোসেন, কোলাপাড়ায় আ'লীগের নেসারুল্লাহ সুজন, শ্রীনগরে আ'লীগের মোখলেসুর রহমান, আটপাড়ায় স্বতন্ত্র আইয়ুব খান, শ্যামসিদ্ধিতে বিএনপির মো. রতন, বীরতারায় আ'লীগের আজম খান, বাঘড়ায় আ'লীগের নুরুল ইসলাম, তন্তরে আ'লীগের জাকির হোসেন, রাঢ়িখালে আ'লীগের আবদুল বারেক খান, হাসাড়ায় স্বতন্ত্র সোলায়মান খান।   ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও তারাকান্দার ২০ ইউনিয়নের ১০টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে বিএনপি এবং ৯টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। গৌরীপুরে মইলাকান্দায় জয়ী হয়েছেন বিএনপির রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ। আ'লীগের বিজয়ীরা হলেন-অচিন্ত্যপুরে শহীদুল ইসলাম অন্তর, সহনাটিতে আবদুল মান্নান, বোকাইনগরে হাবিব উল্লাহ, ডৌহাখলায় শহীদুল হক সরকার, সিধলায় জয়নাল আবেদীন। জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন-গৌরীপুরে আনোয়ার হোসেন, মাওহায় রমিজ উদ্দিন স্বপন, রামগোপালপুরে আবদুল্লাহ আল আমিন জনি, ভাংনামারিতে মফিজুন নূর খোকা।   তারাকান্দায় আওয়ামী লীগের জয়ীরা হলেন-রামপুরে মদন চন্দ্র সিংহ রায়, কাকনিতে মশিউর রহমান, বিশকায় আবদুস সালাম মন্ডল, বানিহালায় আবুল হাসানাত, কামারগাঁওয়ে রফিকুল ইসলাম। জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন-তারাকান্দায় আবদুল জব্বার, গালাগাঁওয়ে জিয়াউল হক, ডাকুয়ায় মেসবাহ উদ্দিন মন্ডল, বালিখায় রেজাউল করিম, কামিরিয়ায় এবাদুল হোসেন তালুকদার।   মাদারীপুরের সদর উপজেলার বাহাদুরপুরে আ'লীগের সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, কালিকাপুরে আ'লীগের এজাজুর রহমান আকন, খোয়াজপুরে আ'লীগের মোহাম্মদ আলী মুন্সী, মস্তফাপুরে আ'লীগের কুদ্দুস মলি্লক, পেয়ারপুরে আ'লীগের মজিবর খাঁ, শিরখাড়ায় আ'লীগের মজিবর রহমান, দুধখালীতে আ'লীগের মিজানুর রহমান হিরু খান, ঝাউদিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ'লীগের সিরাজুল ইসলাম আবুল, ছিলারচরে আ'লীগের বিদ্রোহী সাইফুল আলম বাবুল সরদার, ধুরাইলে আ'লীগের বিদ্রোহী মজিবর রহমান মৃধা, কেন্দুয়ায় আ'লীগের বিদ্রোহী মজিবর মাতুব্বর, কুনিয়ায় আ'লীগের বিদ্রোহী অমিত কবির, পাঁচখোলায় আ'লীগের বিদ্রোহী আক্তার খাঁ এবং রাস্তিতে স্বতন্ত্র মনিরুজ্জামান। এছাড়া ঘটমাঝি ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।   ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বানায় আ'লীগের হাদী হুমায়ুন কবির বাবু, পাচুড়িয়ায় আ'লীগের মিজানুর রহমান সরদার এবং টগরবন্দে আ'লীগের বিদ্রোহী ইমাম হাসান শিপন।   গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের সবক'টিতেই আ'লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তারা হচ্ছেন কলাবাড়ীতে মাইকেল ওঝা, সাদুল্লাপুরে ভীম চন্দ্র বাড়ৈ, রামশীলে খোকন চন্দ্র বালা, বান্ধাবাড়ীতে মহব্বত আলী গোলদার, আমতলীতে হান্নান শেখ, কুশলায় কামরুল ইসলাম বাদল, রাধাগঞ্জে অমৃতলাল হালদার, শুয়াগ্রামে মনীন্দ্রনাথ হালদার, কান্দিতে উত্তম কুমার বাড়ৈ এবং পিঞ্জুরীতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবু ছাইদ শিকদার।   সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে ২০টিতে আ'লীগ এবং ১টিতে আ'লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হন আ'লীগ প্রার্থীরা। আ'লীগ থেকে নির্বাচিতরা হচ্ছেন পাইককান্দিতে এস এম শাহজাহান, মাঝিগাতীতে কাজী মনোয়ার হোসেন মন্টু, নিজড়ায় আজিজুর রহমান, গোপীনাথপুরে আমিনুল হক শরীফ লাচ্চু এবং জালালাবাদে এম সুপারুল হক টিকে। উরফিতে আ'লীগের বিদ্রোহী ইকবাল হোসেন গাজী নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হচ্ছেন লতিফপুরে ফকরুল ইসলাম, দুর্গাপুরে নাজিব আহম্মেদ নাজিব, বোড়াশীতে এম এম মনির আহম্মেদ ননী, কাঠিতে বাচ্চু শেখ, কাজুলিয়ায় মাখনলাল দাস, গোবরায় শফিকুর রহমান চৌধুরী টুটুল, শুকতাইলে শহিদুল ইসলাম, হরিদাসপুরে মুন্সি মকিদুজ্জামান, করপাড়ায় অ্যাডভোকেট সিকদার শাহ সুফিয়ান, বৌলতলীতে সুকান্ত বিশ্বাস, সাতপাড়ে সুজিৎ মন্ডল, সাহাপুরে সুবোধ চন্দ্র হীরা, রঘুনাথপুরে শ্রীবাস বিশ্বাস এবং উলপুরে কামরুল হাসান বাবুল মোল্লা।   গাজীপুরে কালীগঞ্জের বাহাদুরসাদীতে আ'লীগের শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বক্তারপুরে আ'লীগের আতিকুর রহমান আকন্দ, জামালপুরে আ'লীগের মাহবুবুর রহমান খান, জাঙ্গালিয়ায় আ'লীগের গাজী সারোয়ার হোসেন, মোক্তারপুরে আওয়ামী লীগের শরিফুল ইসলাম তরুণ, নাগরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল কাদের মিয়া ও তুমুলিয়ায় আ'লীগের আবু বক্কর বাক্কু।   কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর বনগ্রামে আ'লীগের কামাল হোসেন মিলন, সহশ্রাম ধুলদিয়ায় আ'লীগের আবুল কাসেম আকন্দ, মুমুরদিয়ায় আ'লীগের সৈয়দুজ্জামান, মসুয়ায় আ'লীগের ইদ্রিছ আলী, লোহাজুরীতে আ'লীগের আতাহার উদ্দিন ভুঞা রতন, জালালপুরে আ'লীগের বিদ্রোহী হাবিবুর রহমান রুস্তম, আচমিতায় বিএনপির মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু, করগাঁওয়ে বিএনপির বিদ্রোহী শরাফত লস্কর পারভেজ ও চান্দপুরে বিএনপির বিদ্রোহী মাহতাব উদ্দিন এবং বাজিতপুরের বলিয়ারদীতে আ'লীগের বিদ্রোহী শফিউদ্দিন শফি, দীঘিরপাড়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ'লীগের আমীর মোহাম্মদ ফারুক, দুলালপুরে আ'লীগের গোলাম কিবরিয়া, গাজীরচরে আ'লীগের জুয়েল মিয়া, হালিমপুরে বিএনপির হাজী কাজল ভুইয়া, হিলচিয়ায় আ'লীগের মো. নাহিদ, হুমায়ুনপুরে বিএনপির মানিক মাস্টার, কৈলাগে আ'লীগের গোলাম কিবরিয়া স্বাধীন, মাইজচরে আ'লীগের তৈয়বুর রহমান, পিরিজপুরে আ'লীগের জাফর ইকবাল জুয়েল ও সরারচরে বিএনপির মহসীন মিয়া।   নেত্রকোনার আটপাড়ার স্বরমুশিয়ায় আ'লীগের আবদুস ছাত্তার, শুনইয়ে আ'লীগের সানোয়ার উদ্দিন ছানু, লুনেশ্বরে আ'লীগের মাহফুজুল ইসলাম শিরিন, বানিয়াজানে আ'লীগের ফেরদৌস রানা আনজু, তেলিগাতীতে আ'লীগের জাহাঙ্গীর হাসান, দুওজে আ'লীগের আবদুস সেলিম ওরফে মনি, সুখারীতে আ'লীগের কফিল উদ্দিন ওরফে খোকন এবং মদনের কাইটাইলে আ'লীগের সাফায়েত উল্লাহ ওরফে রয়েল, চানগাঁওয়ে বিএনপির নুরুল আলম তালুকদার ওরফে এন আলম, মদনে বিএনপির বিদ্রোহী বদরুজ্জামান মানিক, গোবিন্দশ্রীতে আ'লীগের একেএম নুরুল ইসলাম, মাঘানে আ'লীগের জিএম সামছুল আলম চৌধুরী, তিয়ম্রীতে বিএনপির বিদ্রোহী ফখরুদ্দিন, নায়েকপুরে বিএনপির আতিকুর রহমান নোমান ও ফতেহপুরে বিএনপির রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।   রংপুর বিভাগ রংপুর জেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে আ'লীগ ১০ ও স্বতন্ত্র ১টিতে বিজয়ী হয়েছে। লালমনিরহাটে ১২ ইউনিয়নে আ'লীগ ৮ ও আ'লীগ বিদ্রোহী ৪টিতে বিজয়ী হয়েছে। নীলফামারীতে ৫ ইউনিয়নের মধ্যে আ'লীগ ৩, আ'লীগ বিদ্রোহী ১ ও বিএনপি বিদ্রোহী ১টিতে বিজয়ী হয়েছে। কুড়িগ্রামের ১৩ ইউনিয়নে আ'লীগ ৬, আ'লীগ বিদ্রোহী ১, বিএনপি ৩ ও জাপা ৩টিতে বিজয়ী হয়েছে। গাইবান্ধার ১২ ইউনিয়নের আ'লীগ ৫, আ'লীগের বিদ্রোহী ১, বিএনপি ২, জাপা বিদ্রোহী ১টি ও স্বতন্ত্র ৩টিতে বিজয়ী হয়েছে। দিনাজপুরে ৩৫ ইউনিয়নের মধ্যে আ'লীগ ২০, আ'লীগ বিদ্রোহী ৮, বিএনপি ৫ এবং স্বতন্ত্র ২টিতে জয়ী হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে ১১ ইউনিয়নের মধ্যে আ'লীগ ৭, বিএনপি ১, বিএনপি বিদ্রোহী ১ এবং স্বতন্ত্র ২টিতে জয়ী হয়েছে। পঞ্চগড়ে ৬ ইউনিয়নের মধ্যে আ'লীগ ৩ এবং আ'লীগের বিদ্রোহী ৩টি জয়ী হয়েছে।   রাজশাহী বিভাগ পাবনায় আওয়ামী লীগের ৭ জন, বিএনপির ৩, সিরাজগঞ্জে আ'লীগের ৬, বিএনপির ২ জন বিজয়ী হয়েছেন। বগুড়ায় আওয়ামী লীগের ১০, বিএনপির ৩, স্বতন্ত্র-৫। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ'লীগের ৬ জন, বিএনপি ১, স্বতন্ত্র ১ জন। জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগের ২, স্বতন্ত্র ১ জন। নওগাঁয় আওয়ামী লীগের ১৪, বিএনপির ১ ও স্বতন্ত্র ৪ জন। নাটোরে আওয়ামী লীগের ৮, স্বতন্ত্র ১ জয়ী হয়েছে এবং স্থগিত আছে ২টি ফল।