English Version
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০১৬ ১৯:৫৫

‘বঙ্গবন্ধুকে যারা জাতির পিতা বলে না তারা নব্যরাজাকার’

ষ্টাফ রিপোর্টার
‘বঙ্গবন্ধুকে যারা জাতির পিতা বলে না তারা নব্যরাজাকার’

জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছন, বঙ্গবন্ধুকে যারা জাতির পিতা বলে না এবং রাজাকারের হাত ধরে থাকে, তারা পাকিস্তানী ভূত ও নব্যরাজাকার।

রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গন থেকে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের পতাকা মিছিল উদ্বোধনকালে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জঙ্গি-রাজাকার, বৈষম্য ও দলবাজী-দুর্নীতি থেকে মুক্ত শান্তি-সমৃদ্ধি ও সুশাসনের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ এতদিনে আরো এগিয়ে যেতে পারতো, কিন্তু সামরিক হস্তক্ষেপ ও সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদের উৎপাত সে অগ্রযাত্রা ব্যহত করেছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত সাত বছর ধরে সামরিক-সাম্প্রদায়িক জঞ্জাল ঘুচিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মাধ্যমে আমরা যা অর্জন করেছি, তাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে দেশকে জঙ্গি-রাজাকার, বৈষম্য ও দলবাজী-দুর্নীতি থেকে মুক্ত করতে হবে। কিন্তু সেজন্য যা প্রয়োজন, তা করতে হবে। প্রয়োজন জঙ্গিবাদ এবং জঙ্গি-পাহারাদার বিএনপি-খালেদা জিয়াকে বর্জন। কারণ খালেদা জিয়া এবং বিএনপি এখনও বঙ্গবন্ধু, একাত্তরে শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচার করে চলেছে, এখনও তারা জামায়াত-জঙ্গি-আগুনসন্ত্রাসী-যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করেনি।

খালেদা জিয়া এবং বিএনপি এখনো বঙ্গবন্ধু, একাত্তরে শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এখনও তারা জামায়াত-জঙ্গি-আগুনসন্ত্রাসী-যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করেনি। বঙ্গবন্ধুকে যারা জাতির পিতা বলে না এবং রাজাকারের হাত ধরে থাকে, তারা পাকিস্তানি ভূত ও নব্য রাজাকার।

জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মীর হোসেন আখতারের সভাপতিত্বে জাসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে শিরীন আখতার এমপি, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, সহিদুল ইসলাম, নারী জোট আহবায়ক আফরোজা হক রীনা, শ্রমিক জোট সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল আহসান জুয়েল, যুব জোট সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, যুগ্ম-সম্পাদক আসিফুর রহমান বাবু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু প্রমূখ সমাবেশে দেশ গড়ার প্রত্যয়ী বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষে একটি পতাকা মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।