English Version
আপডেট : ২৪ মার্চ, ২০১৬ ১৭:২৮

নির্বাচনে সংঘাত সহিংসতার জন্য দায়ী ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচনে সংঘাত সহিংসতার জন্য দায়ী ইসি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আগে-পরে সংঘাত-সহিংসতায় ২২ জন নিহত হয়েছে নেতাকর্মী। অবশ্য এজন্য নির্বাচন কমিশনকেও (ইসি) দায়ী করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী।

রিজভী বলেন, তফশিল ঘোষণার পর থেকে ২২ মার্চ প্রথম ধাপে দেশব্যাপী ৭১২টি ইউপি নির্বাচনের পূর্বাপর সংঘাত, সংঘর্ষ, সহিংসতায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির গুলিবর্ষণ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পৈশাচিক হামলা চালিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীও রয়েছেন। নির্বাচনের আগের  ও পরের দিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় ১২ জন হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, প্রশাসনের কাঙ্খিত সহযোগিতা পাচ্ছি না। পাশাপাশি যদি সংঘাত-সংঘর্ষ হয় তবে পুলিশকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। আবার নির্বাচন শেষেও তিনি বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। রিজভী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের কথাবার্তায় মনে হয়েছে তিনি মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন। আইনে তাদের নিজস্ব শক্তি বারবার মনে করিয়ে দিলেও কমিশন সরকারের মুখের দিকে চেয়েই সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার উল্লিখিত প্রশাসন ও পুলিশ নিয়ে যে বক্তব্যগুলো দিয়েছেন সে বিষয়ে তার নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এতগুলো জীবন দিতে হতো না। রিজভী বলেন, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে সুষ্পষ্টভাবে লেখা আছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে। নির্বাচনকে শান্তিপুর্ণ ও সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশন যখনই সরকারের সহায়তা চাইবে সরকার তা দিতে বাধ্য থাকবে। এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, যদি নির্বাচন কমিশনের এ কথা সরকার না মানে তাহলে অবশ্যই সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। নির্বাচন কমিশনের সেই মুহূর্তে উচিত নিজস্ব শক্তি প্রয়োগ করার। আর সেই শক্তি প্রয়োগে সরকার যদি রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে বাধা দান করে তাহলে নির্বাচন কমিশন দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তা অবহিত করে সরকারের সংবিধান লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে পদত্যাগ করা উচিৎ।