বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ইউপি নির্বাচনেও ভোটকেন্দ্র দখল করে সিল মারার মহোৎসবে মেতেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ভোটকেন্দ্রগুলো থেকে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। প্রশাসন প্রতিকারের পরিবর্তে উল্টো সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ইউপি নির্বাচনের অবস্থা জানানতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ অভিযোগ করেন।   রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা এবং সরকারের প্রতি আনুগত্য থাকার নীতির কারণেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক শক্তি দিয়ে কাজ করলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। চাকরি ও ক্ষমতার লোভে মানুষ যে কত নিচে নামতে পারে তা তাদের না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। অথচ প্রশাসনের মাধ্যমে শাসক দলের সন্ত্রাসীদের দমাতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারত। কিন্তু ইসি সরকারের ইচ্ছে পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। সেজন্য বারবার লিখিত অভিযোগ জানানো স্বত্বেও বিষয়গুলো তারা আমলে নেয়নি। মূলত ইসি জনগণের জনগণের সঙ্গে রসিকতা করছে। এর পরিণতি একদিন ভয়ঙ্কর হবে। কারণ তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কবরে শায়িত করেছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে যে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না, তা আবারো প্রমাণিত হলো। তিনি নির্বাচন কমিশনে তার দলীয় আস্থাভাজন লোক বসিয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে হলে প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় অবশ্যই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন এমন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিয়ে এবং ইসিকে নিরপেক্ষ লোক বসাতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, সহদফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।