English Version
আপডেট : ২২ মার্চ, ২০১৬ ১০:৪৭

ফরিদপুর জেলা আ’লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুর জেলা আ’লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ

দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় শহরের ঐতিহাসিক অম্বিকা ময়দানে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি।

সম্মেলনের বিশেষ অতিথিরা হলেন- ফরিদপুরের উন্নয়নের রূপকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্যাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ হোসেন ও বি এম মোজ্জামেল হক, দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংসদ এনামুল হক শামিম, সাংসদ আব্দুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ ছাড়া সম্মেলনে অংশ নেবেন ৩১৪ জন কাউন্সিলর ও ৩১৪ জন ডেলিগেট। সেখানে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকবেন।

সম্মেলন উপলক্ষে ফরিদপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজার, সড়ক-মহাসড়ক ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ রাজনৈতিক সচেতন মহলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ ও হিসাব-নিকাশ। কে হবেন আগামী দিনের জেলা আওয়ামী লীগের কান্ডারি, কে ধরবেন নৌকার হাল।

জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব পেতে বেশ আগে থেকেই প্রচার-প্রচারণা আর দৌড়ঝাঁপে সরগরম করে রেখেছেন পদপ্রত্যাশীরা। এই প্রতিযোগিতায় পরীক্ষিত মুখের পাশাপাশি অচেনা মুখের তৎপরতাও কম নয়। জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, মাঠপর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রামে অথবা সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কখনো দেখা যায়নি, জেলা শহরে পরিচিত নন, এমন অনেকেই জেলা আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পদ প্রত্যাশা করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন, বিলবোর্ডে ছেয়ে ফেলেছেন ফরিদপুর শহর।

তবে বিগত দিনগুলোতে দলীয় কর্মসূচিতে মাঠে-ময়দানে, রাজপথে অগ্রভাগে থেকে এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর সেক্রেটারি পদে অনেকটাই একক অবস্থান নিয়ে আছেন। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা তার প্রতি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়িত।

জেলা আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের দলীয় কর্মসূচি ও সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে যিনি সম্মুখ ভাগে থাকবেন এবং জেলাবাসীর কাছে যিনি পরিচিত, এমন নেতাকেই জেলার সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত করা হবে।