English Version
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০১৬ ০১:৩৫

জিয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা!

বর্তমান বিএনপির পাঁচটি অসুখ রয়েছে বলে দাবি করেছেন ‘আসল বিএনপি’ খ্যাত বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা কামরুল হাসান নাসিম। সেগুলো হলো- এক. জনস্বার্থে রাজনীতি না করা। দুই. জাতীয়তাবাদী থেকে জামায়াতবাদী হয়ে পড়া। তিন. বিদেশি শক্তির উপর নির্ভরশীল হওয়া। চার. নাশকতাকে রাজনীতির হাতিয়ার করা। পাঁচ. দল পরিচালনায় আমাদের দুই শীর্ষ নেতা খানিকটা কার্যত ব্যর্থ।

বিএনপির কাউন্সিলের একদিন আগে অর্থাৎ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তিনি এ দাবি জানান। 

নাসিম বলেন, ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশের রাজনীতির ‘নেতৃত্ব’ গুণ বিচারে প্রতিপক্ষ দলের প্রধান এবং আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলত আমাদের মহান নেতা জিয়াউর রহমানের পরের ভার্সন। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চিন্তার জায়গাটাতে তাদের মধ্যকার বেশকিছু মিল রয়েছে। এমন কি শাসন ব্যবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কৌশলেও তারা একই পথের পথিক। যদি একজন শেখ হাসিনা রাজনৈতিকভাবে নেতৃত্বের প্রশ্নে শহীদ জিয়ার পরের ভার্সন হন, তবে হাসিনার নেতৃত্বের চেয়েও উন্নত ভার্সন আমদের প্রিয় দল বিএনপি থেকে আসুক।’ 

তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী হয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে এমন কিছু হতে পারলেই বাংলাদেশের ও বিএনপির রাজনীতি সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগে থাকবে। নচেত বেগম জিয়া ও তার অদ্ভুত চরিত্রের পুত্রের মাধ্যমে আমাদের আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ থাকবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন যে ধরনের রাজনীতি করা হচ্ছে তা ব্যক্তিকেন্দ্রিক। নিজেদের করা সামাজিক অন্যায় (মামলা) থেকে পরিত্রাণের জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬০ থেকে ৭০টি আসন নিয়ে বিরোধী দল হওয়ার জন্যই বর্তমানের ‘অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ নেতৃত্ব’ তাকিয়ে আছে। যা চলতে থাকলে বিএনপিকে দুর্বল করবে না শুধুই, নিজেদের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করার মতোই কিছুই হবে। কিন্তু রুগ্ন, অসুস্থ, বিবর্ণ চিন্তায় পরিবেষ্টিত ও চাকুরে কিছু রাজনীতিকদের একের পর এক নাটকীয় রাজনীতি অনেক কিছুকে সহজ করছে না। রাজনৈতিক লেখাপড়ায় আপ্লুত না থেকে তারা আছেন অর্থ ও সামান্য স্বার্থের লোলুপে।’

নাসিম বলেন, ‘গেল কিছুদিনের মধ্যে দলের চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বানানোর চেষ্টায় অর্থাৎ একই দলে মা ও পুত্রকে এক রকম জোর করে দলের শীর্ষ দুটি পদ নিজেদের করে রাখার বন্দোবস্তে যেসব আমলাধারী রাজনীতিকদের দেখা গেছে- জাতীয়তাবাদী জনতার আদালতে তাদের বিচার আসন্ন। এমন সংস্কৃতির নাম গণতন্ত্র নয়। আমি দেশবাসীর কাছে, দলের নেতাকর্মীদের কাছে প্রশ্ন রাখছি- একটি পদেও যেখানে নির্বাচন করা হচ্ছে না এই কাউন্সিলে- তাহলে দলীয় বিপ্লবের, না কথিত কাউন্সিলের গুরুত্ব বেশী?’