বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম এ লতিফের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার বাদি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি এবার তার পাসপোর্ট জব্দের আবেদন করেছেন।

বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে এই আবেদন করেন তিনি। আদালত তার আবেদন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে এবং মানহানির অভিযোগে দুটি মামলা করেন সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি । দুই মামলার বিপরীতেই আদালতে দুটি পৃথক আবেদন জমা দেন। তাতে এমপি লতিফসহ অন্য আসামিদের পাসপোর্ট যেন আইনের আওতায় এনে জব্দ করা হয় সেই আবেদন করেন রবি।

বাদির আইনজীবী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী শাহিন বলেন, মামলার আসামিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তাদের পাসপোর্ট আইনের আওতায় আনার আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদন গ্রহণ করে ব্যবস্থা নিতে দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্প্রতি শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফরের সময় বন্দর আসনের সংসদ সদস্য লতিফের নামে স্থাপিত বিলবোর্ডে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতি ধরা পড়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় যুব ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। সমালোচনার মুখে লতিফ এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওই বিলবোর্ড স্থাপনের দায়িত্ব পাওয়া বিজ্ঞাপনী সংস্থার ডিজাইনারকে নিয়ে। তাতে ওই ডিজাইনার লতিফকে নির্দোষ দাবি করে ঘটনার দায় নেন।

বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির ঘটনায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১ ধারায় হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন যুবলীগের সাবেক নেতা রবি। সেদিন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রহিম জিল্লুও তার বিরুদ্ধে মানহানির একটি মামলা করেন।

৯ ফেব্রুয়ারি তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা লতিফের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন রবি। সেদিন নগর আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম বেলায়েত হোসেন বাদি হয়ে লতিফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একটি মামলা করেন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর লালদিঘীর মাঠে নাগরিক মঞ্চ চট্টগ্রামের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশ থেকে লতিফকে আটক ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেন নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তাকে চট্টগ্রামে সাবধানে চলাফেলা করারও হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। সবশেষ বুধবার চট্টগ্রামের সাত সাংসদ লতিফের পক্ষে বিবৃতি দিয়ে মহিউদ্দিনের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন।