English Version
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৩:৫৫

ইউপি নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে না বিজিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউপি নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে না বিজিবি

 

 

অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনের সময় নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিজিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করলেও সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ছাড়াই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভোটের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন।  

প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন করায় তাতে বেশি ‘সংঘাতের’ আশঙ্কা রয়েছে- বিএনপির এ দাবির মধ্যেই ভোটের নিরাপত্তায় এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন উপযোগী চার হাজার ২৭৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে আগামী ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৩৯ টিতে ভোট হচ্ছে।পর্যায়ক্রমে আরও পাঁচ ধাপে ভোট হবে।

দলীয়ভাবে ভোট আয়োজনের বিরোধিতা করে বিএনপির পক্ষ থেকে রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এতে সংঘাত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, সামাজিক সম্প্রীতিও নষ্ট হবে। অবশ্য তা মানতে নারাজ নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। তিনি বলেন, আমরা পর‌্যাপ্ত পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগ করব।বিজিবি দেওয়ার চিন্তা নেই আমাদের। ভোট কেন্দ্রে আনসার সদস্য বাড়িয়ে দেওয়া হবে। সুন্দরভাবেই ভোট হবে আশা করি।তবে বিজিবি মোতায়েনের পরিকল্পনা না থাকলেও প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব ব্যবস্থাই নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শাহনেওয়াজ মনে করেন, তৃণমূল পর্যায়ের এ নির্বাচনে সহিংসতা অনেক কম হবে। কারণ, এই পর্যায়ে যারা নির্বাচন করে তারা সবাই পরিচিত এবং অনেক ক্ষেত্রে এসব নির্বাচনে একই পাড়া মহল্লা বা পরিবারের লোকেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাই এসব নির্বাচনে তেমন ঝামেলা হবে না।

এবার প্রতি ধাপে গড়ে সাত শতাধিক ইউপির ভোট হবে ২০০৩ সালের ইউপি নির্বাচনে প্রতি ভোটকেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫ জন করে সদস্য মোতায়েন ছিল। সর্বশেষ ২০১১ সালের ইউপি নির্বানের আগে-পরে তিন দিন পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা নিয়োজিত ছিল। নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সও টহলে ছিল। সে সময় পুলিশ, আনসার, ব্যাটালিয়ন আনসার ও ভিডিপি মিলিয়ে ২০ জন করে নিরাপত্তা সদস্য প্রতি ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী এ সংখ্যা বাড়ানো হয় কোথাও কোথাও।

২০১১ সালের অভিজ্ঞতায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইনও এবার বেশি গোলযোগ-সংঘাতের শঙ্কা দেখছেন না।তিনি বলেন, ওই সময় বিজিবিকে কাজে লাগিয়েছিলাম। আমাদের সময় পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল, এবারকার পরিস্থিতি আরেক রকম। এখনকার ইসি মনে করছে পুলিশ দিয়ে কন্ট্রোল করা যাবে; করতে পারলে তো ভালো। আমার মনে হয়, বিজিবিকে সব সময় ব্যবহার করাও ঠিক হবে না।