English Version
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৬ ১১:২১

শীর্ষ নেতৃত্বের অনাগ্রহ; তবু ইউপি নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
শীর্ষ নেতৃত্বের অনাগ্রহ; তবু ইউপি নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি

 

গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের অনাগ্রহ রয়েছে বলে জানা গেছে। এরপরও দলকে সংগঠিত করতে ও সচল রাখতে ইউপি নির্বাচনে যাবে বিএনপি। যদিও এখনও পর্যন্ত দলটিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো প্রস্তুতি বা তৎপরতা দৃশ্যমান নয়।

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে নেতিবাচক মনোভাব দেখান। সদ্য সমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনের মত ক্ষমতাসীন দল একই কায়দায় ইউনিয়ন পরিষদও জোরজবরদস্তি দখল করে নেবে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেন। তাই জেনেশুনে ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোন লাভ নেই বলে তাদের মন্তব্য। তবে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য দলের চেয়ারপারসনকে মাঠপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখান। ওই নেতা বলেন, পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপির লোকসান হয়নি, বরং লাভ হয়েছে। তিনি যুক্তি দেখান, জবরদখলের পরও বিএনপি ২৫টি পৌরসভায় জিতেছে। আর কেন্দ্র দখল করে সরকারি দল যে ভোট কারচুপি করেছে, তা গণমাধ্যমের কল্যাণে সবাই জেনেছে। এমনকি ‘প্রামাণ্যচিত্র’ তৈরি করে তা বিদেশি কূটনীতিকদের দেখাতেও পেরেছে। এসব যুক্তি-ব্যাখ্যা শোনার পর খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে মত দেন বলে জানা গেছে।

ইউপি নির্বাচন নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনাগ্রহের বিষয়টি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান স্বীকার করে বলেন, এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার তো সুযোগ দেখি না। জনগণ ভোট দিলেও জেতার কোনো গ্যারান্টি নেই। তারপরও আমরা যাব। কারণ, স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনেই আমরা অংশ নিয়েছি।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, দলীয় প্রতীকে দেশের চার হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদে আগামী মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পর্যায়ক্রমে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। এর মধ্যে মার্চের তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে ১২টি উপকূলীয় জেলার ৭৭২টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এ লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণবিধির খসড়াও নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে।

পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ও তৎপরতা ছিল, ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে সে রকম দেখা যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায়ে কোনো নির্দেশনা পাঠানো হয়নি। দলের নীতিনির্ধারণী মহলেও নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো প্রস্তুতি দৃশ্যমান নয়। নির্বাচন প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। নির্বাচনী বিধিমালাও প্রকাশ করা হয়নি। তাই বিএনপির নির্বাচন কার্যক্রমও শুরু হয়নি।