English Version
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:৩৯
দুর্নীতির ধারণা সূচক

টিআইবি'র প্রতিবেদনে সায় অর্থমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
টিআইবি'র প্রতিবেদনে সায় অর্থমন্ত্রীর

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিবেদন মেনে নিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দুর্নীতি রোধে কোনো উন্নতি হয়নি স্বীকার করে তিনি বলেন, দুর্নীতি রোধে কোনো উন্নতি হয়নি বলে আমরা ধারণা। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি কথাও বলতে চাই না। দুর্নীতির ব্যাপারটাতে আমরা টাচ-ই করতে পারিনি। সচিবালয়ে বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে টিআইবির প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান অর্থমন্ত্রী। দুর্নীতিতে কোন দেশের অবস্থা কী-তা নিয়ে টিআই প্রতিবছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আজ সকালে প্রকাশিত বার্লিনভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ১৬৮টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩ তম। আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪ তম। দুর্নীতি কমাতে ডিজিটালাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন মুহিত। তিনি বলেন, তবে আমাদের পদক্ষেপ আছে। ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ চলমান। বরাবরের মতোই একটি উদাহরণ দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের মদনমোহন কলেজের আয় আগে ছিল ৮ লাখ টাকা। ডিজিটালাইজেশন হওয়ার পর আয় দাঁড়িয়েছে ৮২ লাখ টাকা। আর্থিক খাতের কারণে বাংলাদেশের দুর্নীতি সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে না - টিআইবির এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেটা হতে পারে। অর্থমন্ত্রী বলেন, হলমার্কসহ বিভিন্ন ঘটনায় সরকারের পদক্ষেপগুলোও বিবেচনা করতে হবে। আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের পর্যায়ের কাউকে এর আগে কখনোই আইনের আওতায় আনা হয়নি। ব্যাংকের নাম উল্লেখ না করে মুহিত বলেন, একটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।