English Version
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৬:১০

'পাকিস্তান সরকার ও ঢাকায় পাকিস্তানি দূতাবাস ষড়যন্ত্র করছে'

নিজস্ব প্রতিবেদক
'পাকিস্তান সরকার ও ঢাকায় পাকিস্তানি দূতাবাস ষড়যন্ত্র করছে'

একাত্তরে পরাজয় মেনে নিতে না পেরে পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। রোববার রাজধানীতে যুদ্ধাপরাধী ১৯৫ পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার গণবিচারের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলে তিনি।

আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক শাজাহান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস ধ্বংস করার জন্য এই চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পাকিস্তান সরকার ও ঢাকায় পাকিস্তানি দূতাবাস ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারীদের নোংরা চেহারা প্রকাশ পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নৌমন্ত্রী বলেন, নরঘাতক ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার বিচার ও পাকিস্তান সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য ৩১ মার্চ  সোহরাওয়ার্দীতে গণবিচারের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাসহ একাত্তরে সাড়ে ১১ হাজার দালাল-যুদ্ধাপরাধীকে বিচার আওতায় আনা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের পর দিল্লী চুক্তিমতে, এসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আশ্বাস দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ১৯৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে দেশের ফিরিয়ে নেওয়ার পর বেঈমান পাকিস্তান কথা রাখেনি।

চুক্তির আওতায় তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে কি না- তা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে শাজাহান খান বলেন, এটা এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করব। জাতি ও রাষ্ট্রবিরোধী সব চক্রান্ত প্রতিহত করে পাকিস্তানি চরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দল-মত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। জামায়াতে ইসলাম ও এর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অপসারণসহ ২১ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেন তিনি।