জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদকে আসামিপক্ষের জেরা চলছে। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই সাক্ষীকে জেরা ও নতুন সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন জানিয়েছেন খালেদাসহ জামিনে থাকা তিন আসামি। তবে তারা অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত।

রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ৩২তম ও শেষ সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করেন আব্দুর রেজ্জাক খান। দুই মামলায়ই খালেদা জিয়ার পক্ষে অনুপস্থিতির জন্য আবেদন জানান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। আদালত খালেদার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেন। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদকে আসামিপক্ষের জেরা ও নতুন সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এটি পেছাতে সময়ের আবেদন জানিয়েছেন খালেদাসহ জামিনে থাকা তিন আসামির আইনজীবীরা।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। দুই মামলারই বাদী হলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ খান।