English Version
আপডেট : ৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৪:২০

ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

অনলাইন ডেস্ক
ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নেতৃত্বেই ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। বাংলার স্বাধীনতা ও বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ ছাত্র সংগঠন। গত ৬৭ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র ও প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরে জাতীয় রাজনীতিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান জাতীয় রাজনীতির অনেক শীর্ষনেতার রাজনীতিতে হাতেখড়িও হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে ছাত্রলীগ। অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি শাহবাগ, মৎস ভবন হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী যোগ দেন। বিপুল জনসমাগমের কারণে এ সময় শাহবাগ থেকে পল্টন পর্যন্ত রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। অপরাজেয় বাংলায় শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি কোনো প্রকার নাশকতা করলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ২০১৫ সাল আমাদের জন্য একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং ও ডিলাইটফুল হবে। এ সময়টিতে ছাত্রলীগের কাজ হবে সকল মানুষের মন জয় করা। ছাত্রলীগকে মানুষের মন জয় করে সুনামের ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে। ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রযাত্রা কাউকে বাধাগ্রস্ত করতে দেয়া হবে না। দেশের ছাত্র সমাজকে সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগ অপশক্তির অপতত্পরতা রুখে দিবে।  সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, তারেক রহমান যতদিন এ দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা না চাইবে, ততদিন খালেদা জিয়াকে কোথাও কোন সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সলান প্রমুখ।

ছবিসূত্র :দৈনিক ইত্তেফাক