English Version
আপডেট : ২ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৯:৪৮

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসল-নকলে সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসল-নকলে সংঘর্ষ
ফাইল ছবি

শনিবার বিকেলে  আসল-নকল বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষটি নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্য্যলয়ের সামনে হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ ক'জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ফকিরাপুল মোড়ে জড়ো হয়ে ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই কর’ স্লোগানে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে ‌'আসল বিএনপি'র প্রায় ৫০-৬০ জন কর্মী। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। বেশ 'আসল বিএনপি'র কয়েকজনকে মারধর করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ৫ রাউন্ড ফাঁকাগুলি করতে হয় ।

ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন এবং কারচুপির পৌর-নির্বাচন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে সরকার পুলিশের সহায়তায় এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।’

আপানারা কি কেউ এদের নাম জানেন, প্রকৃত বিএনপি নামে নাকি একটি রাজনৈতিক দল আছে? এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘আমরা দুপুরের পর থেকে এ ধরনের হামলার একটি খবর পেয়ে পুলিশকে অবহিত করি। পুলিশ তারপরও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পুলিশি পাহারায় ভাড়াটেরা হামলা চালিয়েছে।’

রিজভী আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু অনভিপ্রেতই নয়, সরকারের নীলনকশার অংশ। হামলায় সাংবাদিকসহ ছাত্রদল ও যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।’

এই সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তার আগে 'আসল বিএনপি'র দাবিদার কামরুল হাসান নাসিম বলেন, ‘আমি গত এক বছর ধরে বিএনপি পুনর্গঠন নিয়ে কাজ করছি। গেল ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জনতার একটি নিম্ন আদালত করেছিলাম। সেখানে দুই রায় পেয়েছিলাম। একটা হচ্ছে, আমাদের দলের গঠনতন্ত্র স্থগিত করা আরেকটা হচ্ছে জনতার উচ্চআদালত নয়াপল্টন কার্যালয়ে বসানো।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের কর্মীরা কার্যালয়ে যেতে চেয়ে উচ্চআদালত কবে বসবে সেটার জন্য কথাবার্তা বলতে চেয়েছে। তারা যে নাশকতার রাজনীতি নিয়েছিল আজও তার প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আমার কর্মীরা মিছিল  বের করেছে।  তাদের উপর ককটেল চার্জ করা হয়। এখানেই খালেদা জিয়া ও কামরুল হাসান নাসিমের পার্থক্য।’

কর্মসূচিতে পুলিশও বাধা দিয়েছে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, ‘উচ্চআদালত বসবে এবং নয়াপল্টনেই বসবে। সেটা অহিসংভাবেই বসবে। আমরা সহিংসতাকে প্রশ্রয় দিব না।’