English Version
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২৪ ১০:৫০

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে গত শুক্রবার বৃষ্টি হয়েছে। তবে নিম্নচাপের রেশ কাটতে না কাটতেই এ মাসেই বঙ্গোপসাগরে আবার একটি লঘুচাপ তৈরির আভাস পাওয়া গেছে। সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির ঘটনা নিয়মিতই ঘটে। তবে এ লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডানা’। এটি কাতারের দেওয়া নাম।

লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা কোথায় আঘাত হানবে তা এ মুহূর্তে অনুমান করা শক্ত। তবে বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল ধারণা দিয়েছে, ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। তবে তা বাংলাদেশের দিকে আসবেই এমনটা নিশ্চিত করেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী সোমবার কিংবা মঙ্গলবারের দিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি সৃষ্টি হতে পারে। তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত করার শঙ্কা রয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিত অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এ কারণে মধ্য বঙ্গোপসাগরে ২২ অক্টোবরের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, এখন পর্যন্ত যেটা দেখতে পাচ্ছি, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা বা পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঘাত হানতে পারে। তবে গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশেও আঘাত হানার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গতি-প্রকৃতি দেখে কখন কোথায় আঘাত হানতে পারে, সে পূর্বাভাস দেবে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত আজ শনিবার (গতকাল) রাতেও দেশের কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এরপর ২-৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারপর লঘুচাপের প্রভাবে আবারও বৃষ্টি হতে পারে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ গত ২৬ মে বাংলাদেশ উপকূল ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। বাংলাদেশে এর প্রভাবে সুন্দরবন এলাকায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। বনের ভেতর ছয় থেকে আট ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি উঠে আসায় বন্যপ্রাণীর জন্য তা বেশ অস্বস্তির ছিল। এ ঘটনায় সুন্দরবনে কয়েকশ প্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বনের প্রচুর গাছপালা ভেঙে যায়। তখন রেমালের বড় আঘাতটা ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরবর্তী এলাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত।