English Version
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২২:৫৪

সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত: প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত: প্রধান উপদেষ্টা

সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ছয়টি কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরে বিভিন্ন বিষয়ে কমিশন গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমরা যেহেতু জনগণের ভোটাধিকার ও জনগণের মালিকানায় বিশ্বাস করি, সেহেতু নির্বাচন ব্যবস্থার  উন্নয়নে আমাদের সংস্কার ভাবনায় গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা মনে করি নির্বাচনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠতার একাধিপত্য ও দুঃশাসন মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া বা এর মাধ্যমে এক ব্যক্তি বা পরিবার বা  কোনো গোষ্ঠীর কাছে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব আশঙ্কা রোধ করার জন্য নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কথা আমরা ভাবছি।

ড. ইউনূস বলেন, সংস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কমিশন প্রধান হিসেবে ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কারের কমিশন প্রধান হিসেবে সরফরাজ চৌধুরী, বিচার বিভাগ সংস্কারের কমিশন প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, সংবিধান সংস্কারের কমিশন প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক, দুদক সংস্কারের কমিশন প্রধান হিসেবে ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং জনপ্রশাসন সংস্কারের কমিশন প্রধান হিসেবে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী দায়িত্ব পালন করবেন।

আরও পড়ুন: সাইবারসহ সব কালো আইন বাতিল বা প্রয়োজনে সংস্কার করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এসব কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। পাশাপাশি কমিশনগুলোর আলোচনা ও পরামর্শসভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র, শ্রমিক, জনতা আন্দোলনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাজ আগামী ০১ অক্টোবর থেকে শুরু করতে পারবে বলে আশা করছি। এছাড়া  এই কমিশন পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শসভার আয়োজন করবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র সমাজ, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের  প্রতিনিধি ও সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে তিন থেকে সাত দিনব্যাপী একটি পরামর্শসভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।