English Version
আপডেট : ৬ আগস্ট, ২০২৪ ২১:৫০

শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অবস্থায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

একইসঙ্গে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন প্রক্রিয়াকে গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি। এর মধ্যেই স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান এক টুইটে একথা জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ছেড়েছেন এবং ভারতে বসেই তার পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গেছে।

শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভার্জিনিয়ায় থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রে হাসিনার ভ্রমণের কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যদের ভিসা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দেশটির আইন অনুযায়ী ভিসার তথ্যগুলো গোপন রাখা হয়।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ঢাকার দেশটির দূতাবাসের মুখপাত্র।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে ভিসার তথ্য গোপনীয়। আমরা কারও ভিসার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি না।’

যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনা, তার বোন, সাবেক সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের ভিসা বাতিল করেছে- এমন তথ্য জানার জন্য অনেক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

এদিকে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার সকালে এনডিটিভিকে জানিয়েছে, ব্রিটিশ অভিবাসন আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য সে দেশে যেতে পারেন না।

সাংবাদিক বার্গম্যান সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, হাসিনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। সেখানে তার বোন (শেখ রেহানা) এবং ভাগ্নি (এমপি টিউলিপ সিদ্দিক) থাকেন। হাসিনা যে পদ্ধতিতে ব্রিটেনের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন অভিবাসন আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়।

ওই পদ্ধতিতে কাউকে আশ্রয় দিতে পারে না ব্রিটেন।

নিয়ম অনুযায়ী যাদের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রয়োজন তারা দেশ ছাড়ার পর প্রথম যে নিকটবর্তী নিরাপদ দেশে পা রাখছেন, সেখানেই আশ্রয় চাওয়ার কথা। সেটাই তার নিরাপত্তা পাওয়ার দ্রুততম রাস্তা। এক্ষেত্রে ভারতের নাম উঠে আসছে। তবে হাসিনার কাছে একটি ভিসা থাকতে পারে যা তাকে যুক্তরাজ্য ভ্রমণের অনুমতি দেবে।