English Version
আপডেট : ১ মে, ২০২৪ ০৫:৪৭

সরকার উৎখাতের চেষ্টা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
সরকার উৎখাতের চেষ্টা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

অতি বাম ও অতি ডান মিলে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক শক্ত, এভাবে সরকার উৎখাত করা যাবে না বলে মনে করেন সরকার ও দলীয় প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া গোষ্ঠী দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ কথা বলেছেন বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন ভোট চুরির মধ্য দিয়ে যাদের জন্ম হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অধিকার তাদের নেই।

বিরোধীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশে রাজনৈতিক দেউলিয়া যারা, তারা আর কিছু বুদ্ধিজীবী অনবরত গিবত গাচ্ছে। অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে। তাদের মূল লক্ষ্য সরকার উৎখাত।

পদ্মা সেতুতে ইতোমধ্যেই ১৫০০ কোটি টাকা টোল উঠেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যে পারে এটাই তার প্রমাণ।

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে বলে জানান দলটির সভাপতি। আগামী দিনেও আওয়ামী লীগ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাবে বলে জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে৷ আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়৷

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় বসে লুটপাট করতে পারছে না বলেই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় নেমেছে বিএনপি৷ বিএনপি এমন একটি দল, যাদের কোনো মাথামুণ্ডু নেই৷ তারা শুধু পারে অনলাইনে নির্দেশনা দিতে৷ ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে অপকর্ম করেছে, তা মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত না৷

সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷

সম্প্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও সমালোচনা করেন। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে সবক দেয় বাংলাদেশকে৷ মার্কিন কোনো পুলিশের গায়ে কোনো রাজনৈতিক দল হাত তুললে, কী করত সেখানকার পুলিশ? কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধিতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কী জুলুমটাই না করল আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন৷ এর জবাব কী?