English Version
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:৫১

আতঙ্ক ছড়ানো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে শনাক্ত

অনলাইন ডেস্ক
আতঙ্ক ছড়ানো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে শনাক্ত

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় জেএন.১ উপধরন শনাক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে (১৮ জানুয়ারি) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এ কথা জানিয়েছে।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৫টি নমুনায় অমিক্রনের উপধরন জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার পর এই উপধরন শনাক্ত হয়েছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাসখানেক আগেই নতুন এ উপধরনের কথা বিশ্ববাসীকে জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, নতুন এ উপধরন অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা আছে। তবে এতে রোগের লক্ষণে তীব্রতা কম। পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বাড়ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে জেএন.১ উপধরন শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২২৬ জন। কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ১৭টি রাজ্যে ভ্যারিয়েন্টটি ছড়িয়ে পড়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির ওপর তারা নজর রাখছেন। এদিকে ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সরকার আড়াই কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ নিশ্চিত করেছে। ২০২৪-২৫ সালে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে চতুর্থ ডোজ হিসেবে এসব টিকা দেওয়া হবে।

গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে এখনও করোনাভাইরাসের কিছু টিকা আছে। ফাইজারের এ টিকা নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও কার্যকর।’

এর আগে, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের প্রকোপের মধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ১৩ জানুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেয় সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্বের বেশ কিছু দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন.১-এর সংক্রমণ বেড়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল, চিকিৎসাকেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো। পাশাপাশি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সার্জারি অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেবল কোভিড-১৯ লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার পরামর্শ থাকছে।