English Version
আপডেট : ২৯ জুন, ২০২৩ ০২:২৬

দেশের ঈদের প্রধান জামাতগুলো কোথায়-কখন

অনলাইন ডেস্ক
দেশের ঈদের প্রধান জামাতগুলো কোথায়-কখন

দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান ত্যাগের মহিমায় মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন)। ইতোমধ্যে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য সারাদেশে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হলে জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম জামাত: সকাল ৭টা, ইমাম: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক, মুকাব্বির: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ খাদেম আব্দুল হাদী।

দ্বিতীয় জামাত: সকাল ৮টা, ইমাম: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ ক্বারী মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত: সকাল ৯টা, ইমাম: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের চিফ খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ।

চতুর্থ জামাত: সকাল ১০টা, ইমাম: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা মো. আনিসুজ্জামান সিকদার। মুকাব্বির: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. রুহুল আমিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত: সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট, ইমাম: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম।

এই পাঁচটি জামাতে যদি কোনো ইমাম উপস্থিত না থাকেন তবে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাওলানা জাকির হোসেন, উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

ঢাকার বাইরে ঈদ জামাত

চট্টগ্রাম নগরে প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

খুলনায় প্রধান জামাত সকাল ৮টায় খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকুল থাকলে খুলনা টাউন জামে মসজিদে সকাল ৮টায় প্রধান জামাত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল ১০টায় টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা আলিয়া মাদরাসা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়।

রংপুরে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায়। বৃষ্টি হলে প্রধান জামাত হবে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। এখানে প্রথম জামাত সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। পুলিশ লাইন্স মাঠেও ঈদের জামাত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়।

বরিশালে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায় নগরের বান্দ রোড হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। বরিশাল বিভাগের কয়েকটি মাদরাসায় প্রতিবছর বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেগুলোর মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদরাসা ও পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার শর্ষিনা মাদরাসায় সকাল ৮টায় এবং ঝালকাঠী সদরের বাসন্ডা নেছারাবাদ মাদরাসায় সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ময়মনসিংহে প্রধান জামাত হবে সকাল ৮টায় নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল পৌনে ৯টায়।

সিলেট মহানগর ও জেলায় তিন হাজারের অধিক ঈদগাহ-মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সিলেট নগরীর প্রধান ঈদের জামাত সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শাহি ঈদগাহ ময়দানে হবে। দ্বিতীয় বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে একই সময়ে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.) মাজার মসজিদে।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে প্রতি বছরের মতো এবারো সকাল ৯টায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ময়দানে ১৯৫তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে। শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে আশপাশের জেলার লোকজনের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাতের জন্য প্রস্তুত আয়তনের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দান। এখানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। এবারই প্রথম এই ঈদের জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।