English Version
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:৫৫

দেশের ভূমি ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হয়েছে : সংসদে আইনমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
দেশের ভূমি ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হয়েছে : সংসদে আইনমন্ত্রী

বর্তমানে দেশের ভূমি ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হয়েছে বলে সংসদে দাবি করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানিয়েছেন, সরকারের পদক্ষেপের ফলে ইতিমধ্যে মানুষের ভোগান্তি অনেকটা লাঘব হয়েছে। আশা করি, সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে।

আজ বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন গণফোরামের সংসদ মোকাব্বির খান।

জবাবে আনিসুল হক জানান, জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ কমিয়ে আনার জন্য আইনানুগ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ছাড়পত্র প্রদানের বিধান করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ হ্রাস করার জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ভূমি নিবন্ধনে জনবান্ধব ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম গ্রহণ হয়েছে।

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতিমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।'

সারাদেশের দলিল নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজড করার লক্ষ্যে ‘দলিল নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ শীর্ষক একটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের আন্তঃসংযোগ কার্যক্রমকে অধিক ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত সভা হচ্ছে। আর উভয় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি আন্তঃসংযোগ কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করছে।'

জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, 'দেওয়ানি কার্যবিধিতে জেলা এইড অফিসারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে। লিগ্যাল এইড অফিসসমূহে অসহায় সাধারণ বিচারপ্রার্থীকে আইনি পরামর্শ, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি এবং মামলায় আর্থিক সহায়তা প্রদান সেবা প্রদান করে। ২০২২ সালে ৩২ হাজার ৫৫৪ জনকে মামলা দায়েরের জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।'

মন্ত্রী বলেন, '২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসে এডিআর অর্থাৎ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রম শুরু হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন মামলা দায়ের করার পূর্বেই এডিআর করার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছে।'

'এ পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ এখন মামলা দায়ের করার পূর্বে এডিআর বা মীমাংসার মাধ্যমে তাদের বিরোধ মিটাতে উৎসাহ বোধ করছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ শতভাগ দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিদ্যমান আইন ও বিধিমালার মাধ্যমেই বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে. তাই এ পর্যায়ে প্রচলিত আইন সংশোধনের পরিকল্পনা সরকারের নেই।'