English Version
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:০০

বাবুল আক্তার ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
বাবুল আক্তার ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের মিতু হত্যা মামলা নিয়ে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় তার পক্ষে এ মামলা দায়ের করা হয়।

ধানমন্ডি থানার ওসি মো. ইকরাম আলী মিয়া বলেন, থানায় মামলার অভিযোগপত্র নিয়ে আসেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগপত্র মামলা হিসেবে নথিভুক্তি করা হয়েছে। মামলা নং ২৪। মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাবুল আকতারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবুল আক্তারের বাবা মো. আবদুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, জেলহাজতে থাকা সাবেক এসপি বাবুল আকতার মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করাসহ বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআই-এর ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে আসামিরা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্র করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আকতার ও অন্যান্য আসামির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। এতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধসহ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়।

ইলিয়াস হোসেনের ভিডিওতে ২০১৬ সালে চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে স্বর্ণের গুদামে অভিযান বন্ধ করতে বাবুল আকতারকে বনজ কুমার ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন এমন দাবি করা হয়। এ বিষয়ে মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘ওই অভিযানে বাবুল আকতারের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান ছিল না। আর ভিডিওতে প্রচারিত যে স্বর্ণ চোরাচালানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো ২০১৬ সালের ঘটনা। তখন আমি (বনজ কুমার) সিএমপিতে কর্মরত ছিলাম না। ২০১৫ সালের ১৭ জুন থেকে আমি ঢাকা মহানগর পুলিশে জয়েন্ট কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) হিসেবে কর্মরত ছিলাম।’

মামলার বাবুল আকতারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবুর বিষয়ে এজাহারে বলা হয়, মাহমুদা খানম মিতুকে খুন করে খুনের ঘটনাকে আড়াল করার জন্য আসামি ইলিয়াস হোসেনের প্রচারিত ভিডিওতে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদানপূর্বক ভিডিও ধারণ করে প্রচারের মাধ্যমে জনসম্মুখে আমার মানহানি ও পিবিআই এর মতো একটি বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

মামলার অভিযোগে সুমি খান (৪৬) নামে এক নারীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শেয়ার, লাইক ও কমেন্ট করে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।