English Version
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২২ ০৯:২৩

জ্বালানি তেল নিয়ে গুজবের ব্যাখ্যা দিল মন্ত্রণালয়

অনলাইন ডেস্ক
জ্বালানি তেল নিয়ে গুজবের ব্যাখ্যা দিল মন্ত্রণালয়

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটে পড়েছে সারা বিশ্ব। এই সংকটে যেন বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটি মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ীর পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃচ্ছ্রতা সাধনের পথে হাঁটছে সরকার। এরমধ্যে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে অলস বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে সরকার। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নানা শ্রেণিপেশার মানুষ সমালোচনা করছেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

এবার সেই গুজবের ব্যাখ্যা দিলো মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৭ জুলাই) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, একটি স্বার্থানেষী মহল জ্বালানি তেলের মজুদ নিয়ে অসত্য ও মনগড়া তথ্য প্রচার করছে। যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে বলছি যে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আওতাধীন কোম্পানিগুলোর ডিপোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে। বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলের কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই। সংকটের কোনো আশঙ্কাও নেই। ইতোমধ্যে আগামী ৬ মাসের জন্য প্রয়োজনীয় তেল আমদানির প্রক্রিয়া পাইপ লাইনে রয়েছে। 

ব্যাখ্যায় বলা হয়, আমাদের ডিজেল বর্তমানে (২৭ জুলাই পর্যন্ত) মজুদ রয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন। দৈনিক গড় বিক্রয় ১৩ হাজার ৬০৭ মেট্রিক টন হিসেবে ৩২ দিনের; জেট-এ-১ মজুদ রয়েছে ৪৪ দিনের ও ফার্নেস অয়েল মজুদ রয়েছে ৩২ দিনের। অর্থাৎ আমাদের মজুদ সক্ষমতা অনুসারে যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে।

এতে জানানো হয়, পেট্রোল পুরোটাই বাংলাদেশ উৎপাদন করে। অকটেনের প্রায় ৪০ ভাগ বাংলাদেশ উৎপাদন করে। 

ব্যাখ্যায় বলা হয়, জুলাই মাসে ৯টি জাহাজ থেকে ইতোমধ্যে ২ হাজার ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, ২টি জাহাজে প্রায় ৪৩ হাজার মেট্রিক টন জেট-এ-১, ১টি জাহাজ থেকে ২৪ হাজার ৬৭৭ মেট্রিক টন অকটেন এবং ২টি জাহাজ থেকে ৫৩ হাজার ৩৫৮ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল গ্রহণ করা হয়েছে।

আগস্ট মাসে ৮টি জাহাজে ২ হাজার ১৮ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল, ১টি জাহাজে ২৫ হাজার মেট্রিকটন জেট-এ-১, ১টি জাহাজে ২৫ হাজার মেট্রিকটন অকটেন আসবে।

এতে বলা হয়, আগামী ৬ মাসের আমদানি পরিকল্পনানুসারে জ্বালানি তেল বাংলাদেশে আসবে। এর ৫০ ভাগ জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে এবং বাকি ৫০ ভাগ উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে। ঘাটতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। ভর্তুকী মূল্যে সরবরাহ করা জ্বালানি তেল ব্যবহারে মিতব্যয়ী এবং সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।