English Version
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০২২ ১৭:৫৫

দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক
দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের ১৪ টি বন্যাপ্রবণ জেলার দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। এর ফলে জেলাগুলোর সাড়ে বারো লাখ মানুষ উপকৃত হবে

এ ঋণের মেয়াদ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড সহ ৩০ বছর। বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে এই ঋণ দেয়া হবে।

শুক্রবার বিশ্বব্যাংক এ ঋণটি অনুমোদন করেছে।

রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার অব অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন (RIVER) প্রকল্পটি বাংলাদেশকে ৫০০টিরও বেশি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, রাস্তা এবং জলবায়ু-সহনশীল কার্যক্রম এবং অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।

স্বাভাবিক সময়ে, বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেব ব্যবহৃত হবে। এগুলোতে থাকবে সৌর বিদুৎ।

বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছেন, "সিলেট অঞ্চলের ঘন ঘন বন্যা অপ্রত্যাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি স্পষ্ট উদাহরণ।"

তিনি আরো বলেন “উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য আমাদের পাঁচ দশকের দীর্ঘ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই প্রকল্পটি বাংলাদেশকে উপকূলীয় বন্যাপ্রবণ এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতির উন্নতি করতে সাহায্য করবে।"

বাংলাদেশ, একটি নিম্নাঞ্চলীয় ব-দ্বীপ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে বন্যার মাত্রা ও তীব্রতা বাড়ছে। প্রতি বছর, বন্যা এবং নদীভাঙ্গন প্রায় দশ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করে। তবে কোনো কোনো বছর এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

এ প্রকল্পটি তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, পদ্মা এবং সুরমা-মেঘনা নদীর অববাহিকার বন্যাপ্রবণ জেলাগুলোর জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সাহায্য করবে। জেলাগুলো হলো: নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, এবং সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ।

এ প্রকল্পের বিশ্বব্যাংকের টিম লিডার ইগনাসিও উরুতিয়া বলেন, "অত্যধিক বন্যাপ্রবণ এলাকায় মানুষ এবং তাদের গবাদি পশুদের জন্য অপর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র শুধুমাত্র জীবন ও জীবিকার ক্ষতিই করে না, পাশিাপাশি এটি পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রদানের ক্ষমতাকেও বাধাগ্রস্থ করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্যোগে মানুষ এবং গবাদি পশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।"