English Version
আপডেট : ৬ জুলাই, ২০২২ ১২:০৫

ভিড় নেই সদরঘাটে

অনলাইন ডেস্ক
ভিড় নেই সদরঘাটে

রাজধানীর সদরঘাটে নেই ঈদযাত্রার সেই চিরচেনা চিত্র। লঞ্চের টিকিট পেতে দৌড়ঝাঁপ, ধাক্কাধাক্কি, ডেকে জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা, মানুষের ভিড়, কালোবাজারি সব এখন অতীত।

মূলত পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই বদলে গেছে লঞ্চঘাটের চিত্র। ফলে ফাঁকা কেবিন আর কম যাত্রী নিয়েই ঢাকা ছাড়ছে লঞ্চগুলো।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সদরঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, এখানে নেই ঈদযাত্রার ভিড়। লঞ্চকর্মীদের হাঁকডাকেও মিলছে না দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রী। বিলাসবহুল লঞ্চগুলোতে ডেকে কিছুটা যাত্রী মিললেও অর্ধেকের বেশি কেবিন ফাঁকা। ছোট লঞ্চগুলোর অবস্থা তো আরও নাজুক। যেখানে ঈদযাত্রায় পা ফেলার জায়গা থাকতো না, সেখানে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে অর্ধেকের কম যাত্রী নিয়ে। অন্যদিকে কেবিন খালি থাকায় এবার লঞ্চে অগ্রিম কেবিন বুকিং দেওয়ার চাপ নেই।

সুন্দরবন-১১ লঞ্চের সুপারভাইজার সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবার ঈদের সময় যাত্রীদের ভিড় সামলানো কঠিন হয়ে যেতো। কিন্তু এবার তা নেই বললেই চলে। আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে, কিন্তু আশানুরূপ নয়। এ পর্যন্ত শুধু বিক্রি হয়েছে বৃহস্পতিবারের সব কেবিনের টিকিট।

ঢাকা-বরিশাল রুটের পারাবত-১২ লঞ্চের পরিদর্শক আবুল বারেক বলেন, পরিবারের অনেক সদস্য যাদের অথবা অসুস্থ মানুষ এবং যাদের মালপত্র বেশি তারাই মূলত লঞ্চে যাচ্ছেন। আগে যেখানে দু-তিনদিন আগে কেবিন বুকিং দিয়ে রাখতেন যাত্রীরা, সেখানে এবার কেবিন ফাঁকা।

এদিকে লঞ্চভাড়া স্বাভাবিক দেখা গেছে। অন্যবার ৫০-১০০ টাকা বেশি রাখলেও এবার ভাড়া আগের মতোই রাখা হচ্ছে। উল্টো ছোট লঞ্চে কেবিনের ভাড়া ১০০-৩০০ টাকা কম নেওয়া হচ্ছে।

তবে ভোলা জেলার সঙ্গে কোনো স্থলপথ সংযোগ না থাকায় এ পথে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে যাত্রী স্বাভাবিক রয়েছে। এখানে দেখা গেছে ঈদ যাত্রার ভিড়। অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য চলছে দৌড়ঝাঁপ।