English Version
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৫:০৪

তিস্তা চুক্তির জন্য ভারতকে ফের তাগিদ

অনলাইন ডেস্ক
তিস্তা চুক্তির জন্য ভারতকে ফের তাগিদ

তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি সইয়ের জন্য ভারতকে আবারো তাগাদা দিলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ একই সাথে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসাবে ভারতের অবস্থানকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছে।

প্যারিসে গত সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এ সব বিষয় তুলে ধরেন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম বৈঠকে যোগ দিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন প্যারিসে অবস্থান করছেন। এর আগে উভয়ে মিউনিক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়ে জার্মানি থেকে ফ্রান্সে পৌঁছান।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি এবং মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গত বছর ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছেছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একমত পোষণ করেন। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তিতে গত ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের ১৮টি শহরে মৈত্রী দিবস সফলতার পালনে উভয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করতে পেরে উচ্ছাস প্রকাশ করেন এস জয়শঙ্কর। চলতি বছরের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শক কমিটির (জেসিসি) বৈঠকে যোগ দিতে ড. মোমেনকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানান তিনি। জেসিসির আগে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রæপগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠানের ওপর উভয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির ইস্যুটি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এস জয়শঙ্কর এ ব্যাপারে তার সরকারের নীতিগত অবস্থান তুলে ধরেন। দুই মন্ত্রী কুশিয়ারা নদী নিয়ে চলমান আলোচনা এগিয়ে নিতে সম্মত হন।

প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যেতে পারেন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে দিল্লি যেতে পারেন। 

শীর্ষ পর্যায়ের এই সফরকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন আজ দিল্লি যাচ্ছেন। সফরকালে তিনি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে তিনি সৌজন্য সাক্ষাত করতে পারেন। এ সব বৈঠক ও সাক্ষাতে শীর্ষ পর্যায়ের সফর ছাড়াও আসন্ন জেসিসি বৈঠক নিয়ে আলোচনা হবে। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী মার্চ ও এপ্রিলের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হবে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপগুলোর বৈঠক। এরপর জুনের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের জেসিসি বৈঠকের আয়োজন করা হবে। জেসিসি বৈঠকে দুই দেশের সার্বিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হতে পারে।