English Version
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:১৫

‘পাওয়ার পলিটিক্স বাদ দিয়ে রিসার্চ পলিটিক্স করতে হবে’: সাদ্দাম হোসেন

অনলাইন ডেস্ক
‘পাওয়ার পলিটিক্স বাদ দিয়ে রিসার্চ পলিটিক্স করতে হবে’: সাদ্দাম হোসেন

রোববার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল সম্মেলন।

দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

সনজিত চন্দ্র দাস অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে বলেন, ‘আপনারা যারা আজকে পদপ্রার্থী, আপনাদের জায়গায় একদিন আমিও বসে ছিলাম। নানা বাধা প্রতিকূলতার কারণে আমাদের হল সম্মেলন করতে অনেক দেরি হয়েছে। কিন্তু আপনারা ধৈর্য্যের সাথে ছিলেন, কোনো বিশৃঙ্খল করেন নাই। এজন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সবাই জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কর্মী। আমরা কর্মীর মতো তার নেতৃত্বে কাজ করে যাব। ছাত্রলীগ সবসময় ন্যায়ের জন্য রক্ত দিয়েছে। প্রয়োজন পড়লে আবারও রক্ত দেবে।’

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ যদি দেশে আবার ‌অরাজকতা সৃষ্টি হয়, যদি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কোনো অপশক্তি রুখে দাঁড়ায় তাহলে আমরা বসে থাকব না। আবার যুদ্ধ করতে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ রাজপথে নেমে আসবে। এই সংগঠন আপনার শক্তি হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের অনেক ভুল, অন্যায় থাকতে পারে। আপনি সেগুলোকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আজকের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর নতুন নেতৃত্ব আসবে। এই সম্মেলনেই আমরা শপথ করি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সংগ্রামে আমরা ছাত্রলীগ কাজ করব। মৌলবাদ ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব। আজকের এই সম্মেলন থেকে আমরা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, নিষ্টা ও সাহসিকতার শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন। এ দীর্ঘ পথ চলায় তার যে ত্যাগ, ছাত্রলীগের নেতারা যাতে সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনিও ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। আজ তিনি বিশ্ব রাজনীতির উজ্জ্বল মুখ। আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। মাত্র ১৩ বছরে বাংলাদেশকে তিনি কীভাবে উন্নত করেছেন তা আপনারা সবাই দেখেছেন।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রদায়িকতা বিনাশে ছাত্রলীগকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের কাজ করতে হবে। পাওয়ার পলিটিক্স বাদ দিয়ে আমাদের রিসার্চ পলিটিক্স করতে হবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে ছাত্রলীগকে আলো হয়ে থাকতে হবে।’