English Version
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ ১২:৩৫

তিন মাস পর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
তিন মাস পর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

করোনার অতি সংক্রমণশীল ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে টানা চার দিন ১৫ হাজারের বেশি করোনায় শনাক্ত হওয়ার পর পঞ্চম দিনে এই সংখ্যা কমে এসেছে। কমেছে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও। তবে মৃত্যু বেড়েছে। তিন মাস পর এক দিনে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৮ জন। এর আগের চার দিন প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার ৭০১ জন করে শনাক্ত হয়। সব শেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৩১.১০ শতাংশ। নতুন শনাক্ত নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলো ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৪৯ জন।

এ ছাড়া সব শেষ ২৪ ঘণ্টায় আরো ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ২০ জনের। সব শেষ ২১ জনসহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল সকাল পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৩২৯ জনের।

নতুন আক্রান্তের সঙ্গে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে এক হাজার ১০৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে গতকাল সকাল পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭৮ জন সুস্থ হয়েছে। আবার নতুন আক্রান্তদের মধ্যে আগে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরাও রয়েছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ হয় ৩৩ হাজার ২৩০টি, আর নমুনা পরীক্ষা হয় ৩৩ হাজার ১৭৩টি। আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয় ৪৬ হাজার ২৯২টি এবং নমুনা পরীক্ষা হয় ৪৬ হাজার ২৬৮টি।

দেশে গতকাল সকাল পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩১৮টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৫৭টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ৩৬১টি। দেশে এ পর্যন্ত গড়ে রোগী শনাক্তের হার ১৪.৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮.১৮ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১.৬০ শতাংশ।

করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪ ও নারী সাতজন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল সকাল পর্যন্ত ১৮ হাজার ১০২ জন পুরুষ এবং ১০ হাজার ২২৭ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ মৃত ২১ ব্যক্তির মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ছয়জন। ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী পাঁচজন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী চারজন আর ৫১ থেকে ৬০ এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী রয়েছে তিনজন করে। ২১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১২ জন, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের দুজন করে, রাজশাহী, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছে একজন করে। ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে এবং বাকি তিনজনের বেসরকারিতে।