English Version
আপডেট : ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ১২:০৫

আজ সারা দিন বৃষ্টি

অনলাইন ডেস্ক
আজ সারা দিন বৃষ্টি

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সে নিম্নচাপের প্রভাবে রোববার সকাল থেকেই থেমে থেমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। সোমবার সারা দিন এই বৃষ্টি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার মধ্য রাত থেকেই রাজধানীতে বৃষ্টির প্রভাব বাড়তে থাকে, যা একটানা এখন পর্যন্ত চলছে। সোমবার সকালে রাজধানীর রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কিছুটা কম চোখে পড়েছে।

রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও অনেক কম ছিল। তবে এ সময় অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে।

রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন ঘর থেকে বের হওয়া মানুষজন।

বাইরে বের হয়ে বৃষ্টির কবলে পড়লে সন্তানকে বৃষ্টি থেকে বাঁচানোর চেষ্টায় মা। ছবি: সাইফুল ইসলামআবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে সূর্য ওঠা শুরু করবে। পূর্বাঞ্চলে সূর্য উঠতে একটু দেরি হবে। আজ সারা দিন বৃষ্টি থাকবে। দেশের পশ্চিমাঞ্চল থেকে বৃষ্টি থামতে থামতে পূর্ব দিকে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই বৃষ্টি থেমে গেলেই শীত পড়তে শুরু করবে। এই মাসের মাঝামাঝির দিকে আবারও একটি নিম্নচাপ আসতে পারে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে আজ সন্ধ্যায় লঘুচাপে পরিণত হতে পারে।

লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।

সকালে বের হয়ে গাড়ি না পাওয়ায় অনেকেই ভ্যানে পলিথিন মাথায় দিয়ে রওনা হন গন্তব্যে। ছবি: সাইফুল ইসলামআবহাওয়ার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।