English Version
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ১০:৩০

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখনও অটুট: শ্রিংলা

অনলাইন ডেস্ক
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখনও অটুট: শ্রিংলা

৫০ বছর আগে ভারত-বাংলাদেশ যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল, এখন তা আরও গভীরে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত সহযোগী হিসেবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমনটি জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

শনিবার বিমান বাহিনীর কনক্লেভ থেকে এ কথা বলেন প্রতিবেশী দেশটির পররাষ্ট্রসচিব। বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত কনক্লেভ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শ্রিংলা।

তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও পরিণত হয়েছে। ৫০ বছর আগে যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল, আজ তা আরও গভীরে পৌঁছেছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখনও অটুট।’

এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজও আমাদের দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন।’

তার কথায়, ১৯৭১-এ যতটা নৈতিক ও রাজনৈতিক জয় ছিল, ভারতের জন্য ছিল চূড়ান্ত সামরিক জয়।

বাংলাদেশে কাজ করার সুবাদে তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর (বায়ুসেনা) জাওয়ানদের কীর্তি শুনেছেন বলে জানান হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।

তিনি জানান, ঢাকায় গিয়ে তিনি বায়ুসেনা জওয়ানদের সাহসিকতার কাহিনী শুনেছেন যা আজও বাংলাদেশের বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি উল্লেখ করেন, আত্মসম্মানের সঙ্গে বাংলাদেশ স্বাধীনতার যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কী ধরনের অত্যাচার চালিয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী সে কথা মনে করিয়ে দেন শ্রিংলা। তার দাবি, এই অঞ্চলে কখনও এমন নৃশংস গণহত্যা দেখা যায়নি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবিকতার খাতিরে ভারত শরণার্থীদের প্রতি যে আচরণ করেছে তা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। তার কথায় জাতিসংঘের রেস্পন্সিবিলিটি টু প্রটেক্ট বা সুরক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কিত যে ধারণা রয়েছে তারই উদাহরণ তৈরি করেছিল ভারত।’

তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে শরণার্থীদের পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছিল ভারতীয়দের ওপর ও ভারত সরকারের ওপর।’

এর আগে মুজিব জন্মশতবর্ষের আয়োজনে বাংলাদেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন তিনি। ঢাকায় মুজিব শতবর্ষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্মৃতিচারণায় বলেছিলেন, জীবনের শুরুর দিকে আন্দোলনগুলোর অন্যতম ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে সামিল হওয়া।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার আত্মিক সম্পর্ক আজকের নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। আর শুধু সম্পর্কই নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে তার অংশগ্রহণও ছিল বলে দাবি করেন মোদি।