English Version
আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৪১

উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন তোফায়েলের

অনলাইন ডেস্ক
উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন তোফায়েলের

আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় নেতা তোফায়েল আহমেদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে দিল্লিতে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার অসুস্থতার খবর জানার পরপরই তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার নির্দেশনা দেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে তার খোঁজখবর নেন। উল্লেখ্য যে, গত কিছুদিন ধরে তোফায়েল আহমেদ নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত এক বছরে তিনি তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে তার দু`বার মৃদু স্ট্রোক হয়েছিল বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই তোফায়েল আহমেদ অসুস্থ ছিলেন এবং তার জামাতার তত্ত্বাবধানে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু গত রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরকম অবস্থায় তার জামাতার পরামর্শে দিল্লিতে যোগাযোগ করা হয় এবং আজ সকাল ১১টায় তাকে দিল্লি নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তোফায়েল আহমেদের অসুস্থতার কথা জানেন এবং তিনি তাকে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তার পরিবারকে পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য যে, দিল্লিতে নেয়ার পর তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য যে, তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর অন্যতম বিশ্বস্ত এবং প্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রহমানকে তোফায়েল আহমেদই বঙ্গবন্ধু উপাধি দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তাকে রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ করেছিলেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেষ দিনটিতেও তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ই আগস্ট তোফায়েল আহমেদ গণভবনে ড. ফরাসউদ্দিনের বিদায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। সেখান থেকে তোফায়েল আহমেদই বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পৌঁছে দেন এবং এরপর ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর আওয়ামী লীগের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই সময় তোফায়েল আহমেদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দলের অনেকে সেই সময়ে সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এতসব বিতর্কের পরও তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা এবং বঙ্গবন্ধুর প্রিয় মানুষ হিসেবেই পরিচিত। আরে তোফায়েল আহমেদের মূল পরিচয় তিনি আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা তোফায়েল আহমেদের রোগমুক্তি কামনা করেছেন এবং বিভিন্ন ভাবে তার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন।