English Version
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২১ ১১:৪১

ভেন্টিলেশনে রেখেই ক্যাপ্টেনের চিকিৎসা চালানোর ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
ভেন্টিলেশনে রেখেই ক্যাপ্টেনের চিকিৎসা চালানোর ঘোষণা

ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছেন সেখানে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ বিমানের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের দুই বোন। তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা চালু রাখার মত দিয়েছেন।

রোববার (২৯ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। বাংলাদেশ থেকে তিনি ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, সর্বশেষ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় তার চিকিৎসার আপডেট নেওয়া হয়েছে। ক্যাপ্টেন নওশাদ সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন। সন্ধ্যায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বিশেষ মেডিকেল বোর্ড তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে। এরপর বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রটোকল অনুযায়ী ক্যাপ্টেন নওশাদের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হবে।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ক্যাপ্টেন নওশাদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দুই বোন এখন নাগপুরে অবস্থান করছেন। পরিবারের সদস্যরা ক্যাপ্টেন নওশাদের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। পরে ফ্লাইটটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।

আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন নওশাদ ফ্লাইটটিকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।

কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।

বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।

নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে এবার জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটি প্রথম নয়। পাঁচ বছর আগে এভাবেই আরো ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।

পরে ২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল।

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।