English Version
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০২১ ১৩:১০

হাইকোর্টে পরীমনির জামিন শুনানি দুপুরে

অনলাইন ডেস্ক
হাইকোর্টে পরীমনির জামিন শুনানি দুপুরে

মাদক মামলার জামিন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে নিম্ন আদালত যে আদেশ দিয়েছেন, তা চ্যালেঞ্জ ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন পরীমনি।  ওই আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করলে শুনানির জন্য এ সময় নির্ধারণ করা হয়।

আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।  রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু এহিয়া দুলাল।

এর আগে বুধবার পরীমনি নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন।  ওই আবেদনে জামিনও চান তিনি।  আবেদনটি করেন পরীমনির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।

সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমনির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান।  পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।  তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৪ আগস্ট বাদীসহ র‌্যাব ১-এর সদস্যরা গুলশান-১ গোলচত্বরে অবস্থান করছিলেন।  বিকাল ৪টা ৫ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, বনানীর একটি বাসায় পরীমনি তার সহযোগী আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে মজুত করে রেখেছেন।  তারা বাসায় অবস্থান করছেন।  পরে বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান চালানো হয়।  পরীমনির বাসা থেকে নারী র‌্যাব সদস্যের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।  বাসার একটি কক্ষে কাঠের ফ্রেমের ভেতর থেকে বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, পরীমনির বাসা থেকে একটি সাদা জিপারে রাখা চার গ্রাম আইস বা ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা হয়। আরও জব্দ করা হয় এক ব্লট ভয়ঙ্কর এলএসডি মাদক। পরীমনির বাসা থেকে জব্দ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকের মোট দাম দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা।

৪ আগস্ট বিকালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন পরীমনি।  এ সময় র‌্যাবের পক্ষ থেকে পরীমনিকে তার বাসায় অভিযানের কথা জানানো হয়।  কিন্তু তিনি লাইভে এসে মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার চালানো শুরু করেন।

লাইভে পরীমনি বলেন, আমি ঘুমাইতেছিলাম। বাসার নিচে মেইনগেটে সব ভাঙচুর করে তারা ওপরে চলে আসছে। এখন বাসার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করছে। বারবার কলিংবেল বাজাচ্ছে। পুলিশসহ কেউ শুনছে না, আমি সবাইকে ফোন করলাম, কেউ আসছে না।

মরে গেলে আসবেন ভাই? তিনি আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছে এরা ডাকাত। একেক জনের একেক রকমের চেহারা। এরা যদি ডাকাত হয় কী করবেন? আমি এটার ভয় করছিলাম। আমি আজ লাইভ কাটব না।

এখানে থানা থেকে আসতে কতক্ষণ লাগে? মানুষ কি মরে যাবে? তারা নাকি কেউ জানে না, কোন থানা থেকে আসছে, সিআইডি না র‌্যাব কেউ কিছু বলতে পারছে না।

পরীমনি সবার উদ্দেশে আরও বলেন, আমি বুঝতেছি না আমি মরে গেলে আসবেন? আমি তো হার্টআট্যাক করব। ব্রেনস্ট্রোক করে মরে যাব। এটা একদম টর্চার। লাইভে থেকে আলোচিত এই চিত্রনায়িকা কারও একজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

তখন তাকে বলতে শোনা যায়, আমি মরে যাব। আর পৃথিবী দেখব না! আমি লাইভ কাটব না। আমি দেখিয়ে মরব। আমার সঙ্গে কেউ কিছু করে পার পাবে না। আর মেরে ফেললে তো কোনো কিছু করার নেই।