English Version
আপডেট : ৭ আগস্ট, ২০১৭ ২১:০৫

রায়ের বিষয়ে জনমত গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী

রায়ের বিষয়ে জনমত গড়ে তুলুন : প্রধানমন্ত্রী

 

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে সংক্ষুব্ধ সরকার। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভা শেষে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রীরা। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রায়ের বিষয় জনগণকে জানানোর জন্য মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নির্দেশ দেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রায় তো ওনারা দিয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি আপনাদের হাতে এসেছে। এখন আপনারা রায়ের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ নিয়ে কথা বলুন। এ বিষয়ে জনমত গড়ে তুলুন। জনগণ যেন বুঝতে পারে ষোড়শ সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ রায়ে তারা কী মন্তব্য করেছেন?’

 

তিনি আরও বলেন, “রায়ের কোথাও কোথাও সরকার এবং জনগণ সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করা হয়েছে। কাজেই আপনারা যেখানেই সুযোগ পাবেন সেখানে এসব বিষয় জনগণকে জানাবেন। কারণ, আমরা জনগণের প্রতিনিধি। জনগণের এসব বিষয় জানার অধিকার আছে।”

 

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর অনির্ধারিত আলোচনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ষোড়শ সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিষয়টি উপস্থাপন করেন। দুই ঘণ্টাব্যাপী এটি নিয়ে আলোচনা হয়, যা এর আগে কখনও হয়নি।

 

অনির্ধারিত বৈঠকে আইনমন্ত্রী রায়ের কপি উত্থাপন করেন। তিনি রায়ের বিভিন্ন পয়েন্ট মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের অবহিত করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, “ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে অপ্রাসঙ্গিক অনেক কিছু আনা হয়েছে, যা প্রয়োজন ছিল না। যেমন- রায়ে পঞ্চম ও ষষ্ঠ সংশোধনী টেনে আনা হয়েছে। এ রায়ে সংসদকে ‘ইমম্যাচিউর্ড’ বলা হয়েছে। এমনকি ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল, সেটাকেও ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ বলা হয়েছে। এছাড়া রায়ে আরও অনেক ‘আপত্তিকর’ বিষয় আনা হয়েছে।”

 

মন্ত্রিপরিষদের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগামীকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও সভা সূত্রে জানা গেছে।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর এক মন্ত্রী বলেন, “রায়ে যেসব ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করা হয়েছে তা এক্সপাঞ্চ করতে আবেদন করা হবে।’’

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।