English Version
আপডেট : ৭ আগস্ট, ২০১৭ ১৫:৪৪

পারমাণবিক বোমামুক্ত দণি এশিয়া গড়ার আহবান তথ্যমন্ত্রীর

পারমাণবিক বোমামুক্ত দণি এশিয়া গড়ার আহবান তথ্যমন্ত্রীর
ফাইল ছবি

 

পারমাণবিক বোমামুক্ত দণি এশিয়া গড়ার আহবান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

রোববার রাজধানীতে বাংলাদেশ পরমাণুশক্তি কেন্দ্র মিলনায়তনে ৭০তম হিরোশিমা দিবস উপলে আয়োজিত সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপরে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নঈম চৌধুরী।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে পারমাণবিক, দারিদ্র্য ও জঙ্গিবাদ-তিন বোমার ওপরে অবস্থান করছে দণি এশিয়া। সংঘাত, ধ্বংস ও দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি পেতে এই তিনের অবসানের কোন বিকল্প নেই। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনাকে গভীর বেদনার সঙ্গে স¥রণ করে মন্ত্রী বলেন, শান্তির পথে অগ্রযাত্রা আমাদের দণি এশিয়াকে পারমাণবিক বোমামুক্ত করতেই হবে।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ উন্নয়নমূলক ব্যবহারে ব্রতী হয়েছে উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, যুদ্ধ নয় শান্তির হাতিয়ার হবে আগামী দিনের পারমাণবিক শক্তি।

 

বিজ্ঞানভিত্তিক আয়োজক সংস্থা স্টারট্রেক ড্রিম’র কর্ণধার বিজ্ঞান গবেষক রুশো তাহেরের পরিচালনায় সেমিনারে অংশ নেন পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও পারমাণবিক প্রকৌশল অধ্যাপক ড. সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, পদার্থবিদ ও বেতার সম্প্রচার বিশেষজ্ঞ মনোরঞ্জন দাস, কলামিস্ট শেখর দত্ত, নিউকিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিঃ এর উপদেষ্টা রবীন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ।

 

সেমিনারের শুরুতে পারমাণবিক শক্তির ওপরে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘ধ্বংসে অথবা বিনির্মাণে’ প্রদর্শিত হয়। আজ ৭০তম হিরোশিমা দিবস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকাল সোয়া ৮টায় জাপানের হিরোশিমা শহরে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম পারমাণবিক বোমা নিপে করে যুক্তরাষ্ট্র।

 

লিটল বয় নামের এই পারমাণবিক বোমা হামলায় কমপে এক লাখ ৪০ হাজার লোক নিহত হয়। হিরোশিমায় হামলার তিন দিন পর নাগাসাকিতে আরেকটি পারমাণবিক বোমা নিপে করা হয়। এতে প্রায় ৭৪ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। তবে জাপানের আসাহি শিমবুনের এক হিসাবে বলা হয়েছে, বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগসমূহের কারণে দুই শহরে ৪ লাখের মতো মানুষ মারা যায়। যাদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক।

 

বিমান থেকে ফেলা বোমাটি প্রায় ৫শ’ মিটার উচুঁতে হিরোশিমায় বিস্ফোরিত হয়। ঘুমের মধ্যেই মারা যায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও যুবা। মাটির সঙ্গে মিশে যায় বেশিরভাগ দালান-কোঠা।

হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে হামলার কিছুদিনের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মসমপর্ণ করে জাপান।