English Version
আপডেট : ৭ আগস্ট, ২০১৭ ১৫:৩১

নারায়ণগঞ্জে ৫ খুন মামলা, ভাগ্নে মাহফুজের মৃত্যুদণ্ড

নারায়ণগঞ্জে ৫ খুন মামলা, ভাগ্নে মাহফুজের মৃত্যুদণ্ড

 

নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে মামির সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের জেরে দুই শিশুসহ ৫ খুনের মামলার প্রধান আসামি মাহফুজের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

 

সোমবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে জেলা ও দায়রা জজ বেগম হোসনে আরা আক্তারের আদালত এ আদেশ দেন। এ দিন সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মাহফুজকে আদালতে হাজির করা হয়।

 

এর আগে ৩০ জুলাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একমাত্র আসামি ভাগ্নে মাহফুজের উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায় ঘোষণার এ তারিখ নির্ধারণ করেন। ভাগ্নে মাহফুজকে পাঁচবার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে একবার ফাঁসি দিলেই এ আদেশ কার্যকর হয়ে যাবে।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে শহরের বাবুরাইল এলাকা থেকে তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোট ভাই মোরশেদুল (২২) ও তার জা লামিয়ার (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি সকালে নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার ভাগ্নে মাহফুজ, ঢাকার কলাবাগানের নাজমা ও শাহজাহানের নাম উল্লেখ করে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

 

ওই দিন রাতেই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন মাহফুজ ও নাজমাকে আটক করা হয়।

 

পরে ২১ জানুয়ারি আদালতে মাহফুজ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি ছিল অনেকটাই গা শিউরে ওঠার মতো। মামির সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে অবৈধভাবে শারীরিক মেলামেশা করতে না পারার ক্ষোভ থেকেই একে একে পাঁচজনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে ভাগ্নে মাহফুজ।