English Version
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৭ ১৭:১৪

কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব দেশের পশু দিয়েই

কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব দেশের পশু দিয়েই

 

 

 

দেশে যে পরিমাণ গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া রয়েছে তাতে কোরবানির চাহিদা পুরোপুরি মেটানো সম্ভব বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।

 

একই সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু আমদানি ও চোরাই পথে পশু আসা বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

 

পশু আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, এবার দেশে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৫ হাজার। এর মধ্যে গরু-মহিষ আছে ৪০ লাখ। আর ছাগল-ভেড়া আছে প্রায় ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার। যা দেশের মোট চাহিদা সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে সক্ষম।

 

এ অবস্থায় যদি পশু আমদানি ও চোরাইপথে পশু আসা বন্ধ না করা যায়, তাহলে দেশের মাংস উৎপাদনকারী খামার ব্যবসায়ীরা লোকসানের সম্মুখীন হবেন। যা ভবিষ্যতে দেশের মাংস শিল্পের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 

গত ৯ জুলাই রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এফবিসিসিআই, আইবিসিসিআই ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্যশিল্পের ওপর দুই দিনব্যাপী ব্যবসায়িক সম্মেলনে মাংস আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

 

ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, মাংস আমদানির উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের বিপুলসংখ্যক গরু ব্যবসায়ী, কসাই ও ক্ষুদ্র খামারিরা মূলধন হারিয়ে পথে বসবেন। সেই সঙ্গে দেশের ট্যানারি শিল্পও হুমকির মুখে পড়বে।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন, মহাসচিব শাহ ইমরান, সহ-সভাপতি আলি আজম শিবলী, যুগ্ম সচিব নাসিম উল্লাহ প্রমুখ।