English Version
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০১৭ ১০:১৫

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

অনলাইন ডেস্ক
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যমুনার পানি বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৬ জুলাই থেকে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার ৫টি উপজেলার পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বন্যাদুর্গত ৫টি উপজেলার আভ্যন্তরীণ সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই জেলার ১৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে এবং লক্ষাধিক পানিবন্দি মানুষের ঘরে ঘরে রান্না করা খাবারের তীব্র সংকট চলছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক আব্দুল মান্নান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীতে আরও ১০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ভারতের আসাম রাজ্যের গজলডোবা হয়ে নেমে আসা বন্যার পানিতেই যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলাসমূহের ৫টি উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বন্যাদুর্গত এসব অঞ্চলের আভ্যন্তরীণ সকল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে এবং বুধবার সকাল থেকে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ ধারণ করেছে।  

জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে জেলার ১১৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, বন্যায় জেলার ১৯টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল জানান, ইসলামপুরের ৭টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, রান্না করা খাবার ও গো-খাদ্যর তীব্র সংকট চলছে। ত্রাণ তৎপরতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলেও জানান তিনি।  জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির জানান, জেলার বন্যার্তদের সাহায্যে এ পর্যন্ত ৯০ মেট্রিক টন চাল, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ১১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার বিকালে ইসলামপুর উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন এবং বন্যার্তদের মাঝে ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন বলেও জানান।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানান, যমুনার পানি আরো ২/৩ দিন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।