English Version
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৭ ১৬:৫৯

আগামীকাল ওসমানী বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক
আগামীকাল ওসমানী বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হচ্ছে

আগামীকাল সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে। ফ্লাই দুবাইয়ের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আগামীকাল বুধবার বিকেলে ওসমানী বিমানবন্দর থেকে ওই দেশের উদ্দেশে যাত্রা করবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ওই ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে দিয়ে সরাসরি প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটবাসীর দেড় যুগেরও অধিক সময় প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে।

১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হয়। এর প্রায় ১৮ বছর পর এই বিমানবন্দর থেকে বিদেশি কোন উড়োজাহাজের সরাসরি ফ্লাইট আগামীকাল বুধবার থেকে চালু হচ্ছে। যদিও এর আগে আরেক দফা দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়েছিল। কিন্তু চালুর পরদিনই তা বন্ধ হয়ে যায়।

তবে এবার বন্ধ হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই জানিয়ে ফ্লাই দুবাইয়ের সিলেটের স্টেশন ম্যানেজার মাসুম মিয়া বলেন, ২০১৫ সালের ১ মে ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাই দুবাই। কিন্তু গ্রাউন্ড সার্ভিস না পাওয়ায় ওইদিনের পর আর ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সাথে আমাদের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের চুক্তি হয়েছে। ফলে ১৫ মার্চ থেকে ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, প্রথম ৩ মাস ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুবাই, কাতার ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। ৩ মাস পর সপ্তাহে সাত দিনই ফ্লাইট থাকবে।

ওসমানী বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, কেবল ফ্লাইট দুবাই নয়, এয়ার এরাবিয়া, জেট এয়ারসহ কয়েকটি বিদেশি কোম্পানি সিলেট থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।

প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২০১৫ সালে প্রায় ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত হয় রিফুয়েলিং স্টেশন। ২০১৬ সাল থেকে রিফুয়েলিং স্টেশনটিও চালু করা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট না থাকায় স্টেশনের জ্বালানি বিক্রি হচ্ছে না। ফলে চালুর পর থেকেই লোকসানে আছে ওসমানীর রিফুয়েলিং স্টেশন।

এ ব্যাপারে ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, ২০১৫ সালে ফ্লাই দুবাই’র ফ্লাইট চালু করলেও গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তা বন্ধ করে দিতে তারা বাধ্য হয়। এবার সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে তারা ফ্লাইটটি চালু করছে।

তিনি জানান, ওসমানী বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে ওয়াইড বডি বোয়িং ৭৭৭ মডেলের বিমানসহ অন্যান্য ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ৪৫২ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আরো বিদেশি উড়োজাহাজ ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।