English Version
আপডেট : ১ মার্চ, ২০১৭ ১০:০৩

পরিবহন ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
পরিবহন ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিকরা।  আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গাবতলীতে এক সমাবেশে বাংলাদেশ আন্তজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।

বিষয়টি নিয়ে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিতে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, সংবাদপত্র, অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি গাড়ি ছাড়া কোনো রকম গাড়ি চলবে না, চালাতে দেব না। এ আইন প্রত্যাহার করে শ্রমিকদের জেল থেকে বের করতে হবে। আমাদের দাবিদাওয়া সম্পূর্ণ মেনে নিলে শ্রমিকেরা গাড়ি চালাবেন। এর বাইরে নয়। 

সমাবেশে বাংলাদেশ আন্তজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী বলেন, যাবজ্জীবন আর ফাঁসির দায় মাথায় নিয়ে আমরা গাড়ি চালাতে পারব না। যতক্ষণ না আইন বাতিল ও দ্রুত চালকদের মুক্তি না দেওয়া হবে, ততক্ষণ এ আন্দোলন চলবে।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আজ মঙ্গলবার সারা দেশে ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহনশ্রমিকেরা। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের চালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওইদিন দুপুর ২টা থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। সেটি চলা অবস্থায় শনিবার আরও ৯টি জেলা যুক্ত করে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়। এর পর সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে ট্রাকচালক মীর হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। এদের মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের বেপরোয়া গতির বাস ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরকে বহনকারী একটি মাইক্রোবাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়। মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই পাঁচজন প্রাণ হারান। গুরুতর আহত হন আরও তিনজন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, মাইক্রোবাসচালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী ওয়াসিম হোসেন ও জামাল হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তাঁর স্ত্রী দিলারা বেগম জলি। তাঁরা কাগজের ফুল ছবির শুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন।