English Version
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ১৯:৪৮

‘তাদের বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘তাদের বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ’

পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা কানাডার আদালতে খারিজ হয়ে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পুত্র ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, “পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় কানাডার আদালত কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। 

আদালত বলেছে ‘তথ্য-প্রমাণ গুজব ও গালগল্পের’ উপর ভিত্তি করে। অন্যকথায় বলা যায় এটি বানানো।” ওই স্ট্যাটাসে তিনি পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলার বিষয়ে যারা ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল’ তাদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ মাধুরি মিশিয়ে গড়েছে বিশ্বব্যাংক। পুরো মামলা চলাকালে আমি নিজে তথ্য-প্রমাণাদি দেখেছি। এটা পুরোটাই বানোয়াট এবং সুনির্দিষ্ট-বিস্তারিত কিছু নেই, আছে কেবল একটি বেনামী সূত্র, যেটি কোথাও এমনকি কানাডার আদালতের কাছেও প্রকাশ করা হয়নি।’

জয় বলেন, ‘আমার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সুনামহানি করতে বিশ্বব্যাংক এই ষড়যন্ত্র করেছে।’

শেখ হাসিনা বরাবরই বলে আসছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বিশ্ব ব‌্যাংকের অভিযোগ তোলা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ এবং এতে বাংলাদেশিরাও জড়িত ছিলেন।

তিনি সম্প্রতি সংসদে বলেন, হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব‌্যাংকের অর্থায়ন আটকেছিলেন নোবেলজয়ী বাংলাদেশি মুহাম্মদ ইউনূস এবং এতে বাংলাদেশের এক সম্পাদকেরও ভূমিকা ছিল।

জয় লেখেন, ‘এটা লজ্জাজনক যে, আমাদের সুশীল সমাজের একটা অংশ দ্রুত আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে ও বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে অবস্থান নেন। তারা বেশ কয়েকজন পরিশ্রমী, সম্মানিত যোগ্য মানুষের গায়ে কালিমা লেপন করেছে। যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তারা দেশপ্রেমিক নয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার আওয়ামী লীগ সরকার এবং যে সমস্ত মানুষদের সম্মানে তারা আঘাত করেছে তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। বস্তুত, তাদের বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।