English Version
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৪:৩০

সেই ইমামের ভ্যান যাচ্ছে জাদুঘরে, তিনি বিমান বাহিনীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেই ইমামের ভ্যান যাচ্ছে জাদুঘরে, তিনি বিমান বাহিনীতে
ইমামের ভ্যানে প্রধানমন্ত্রীও তার পরিবারের সদস্যরা

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী টুঙ্গিপাড়ার ভ্যানচালক ইমাম শেখের ভ্যানটি চলে যাচ্ছে জাদুঘরে। এনিয়ে ইমামের কোনো দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তিনি পেয়েছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর চাকরি।

ইমাম শেখের বাবা মানসিক রোগী আব্দুল লতিফ শেখের চিকিৎসা ও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ৪০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।

আজ রোববার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানবাহিনীর যশোর ক্যান্টনমেন্টের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির স্কোয়ার্ডন লিডার হারুন-উর- রশিদ টুঙ্গিপাড়া সরদারপাড়া গ্রামে ইমাম শেখের বাড়িতে গিয়ে ইমাম শেখের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।  এরপর তিনি ইমাম শেখের বাবার চিকিৎসা ও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য ইমামের মা শাহানূর বেগমের হাতে ৪০ হাজার টাকা তুলে দেন।   এ সময় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির স্কোয়াড্রন অ্যাসিট্যান্ট লিডার দেলোয়ার হোসাইনসহ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।   টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি বিএম গোলাম কাদের সাক্ষী হিসেবে ইমাম শেখের নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন।   এ সব প্রক্রিয়া শেষে দুপুর ১২টার দিকে ইমাম শেখ ব্যাগ ব্যাগেজ ও ভ্যান নিয়ে বিমানবাহিনীর গাড়িতে করে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেন।   বিমান বাহিনীর যশোর ক্যান্টনমেন্টের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির স্কোয়াড্রন লিডার হারুন-উর-রশিদ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইমামকে বিমান বাহিনীতে চাকরি দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তার নিয়োগপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ভ্যান আমরা যশোর নিয়ে যাচ্ছি। পরে এ ভ্যান জাতীয় জাদুঘরে পাঠানো হবে।   প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমামের মনের ইচ্ছা জানতে পেরে তা পূরণ করেছেন। দরিদ্র এই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইমামের পিতার চিকিৎসা ও বাড়িঘর মেরামতের জন্য সহায়তা দিয়েছেন।   ইমামের মা শাহানূর বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছেলের চাকরি দেয়ার পাশাপাশি আমাদের জন্য সব কিছু করবেন এমন প্রত্যাশা করিনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য যা করেছেন, তার জন্য আমার সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব।   ইমামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউনুস আলী মোল্লা বলেন, ইমামের বাবা মানসিক রোগী। সংসারের অভাব অনটনের কারনেই ইমাম পড়াশোনা ছেড়ে ভ্যান চালাতো। প্রধানমন্ত্রী তার ভ্যানে চড়ার পর তার ভাগ্য বদলে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর এ মহানুভবতায় সবাই বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য দেয়া করছেন।   গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাতি-নাতনি নিয়ে ইমামের ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ঘুরতে বের হন।