English Version
আপডেট : ২২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০১:৩৮

‘রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঋণের বিষয়ে চুক্তি সই আগামী মাসে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
‘রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঋণের বিষয়ে চুক্তি সই আগামী মাসে’

ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঋণের বিষয়ে ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসেই চুক্তি সই হতে যাচ্ছে।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান। 

নসরুল হামিদ বলেন, ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে আগামী মাসে রামপালের ঋণ চুক্তি সই হবে। সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোরের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বে যারা রামপালের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদের মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের চেয়ে বহুগুণ বেশি। তারা প্রথমে কয়লা ব্যবহার করে উন্নত দেশ হয়েছে। এখন তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবাসিক ও শিল্প-কারখানায় এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এজন্য একটি নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে।

বিদ্যুৎ আনতে ভারত করিডোর দেবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ভারত ছাড়াও নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনবে বাংলাদেশ। ভারতের ভূমি ব্যবহার করে এ বিদ্যুৎ আনা হবে। এ বিষয়ে ভারত সম্প্রতি সম্মতি দিয়েছে।

ভারত ও মিয়ানমার সমুদ্রে তেল-গ্যাস উত্তোলনে এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে- এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে জরিপ শুরু করা যায়নি। আমার ওপরও সরকার আছে। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হয়। তিনি জানান, সমুদ্রসম্পদ জরিপে কোম্পানি নিয়োগের প্রস্তাব মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। সোমবার নাগাদ এটা পেয়ে গেলে মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো হবে।

শিল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে এখন ১০০দিন লাগে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সময়সীমা কমিয়ে আনা হবে। আবাসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এ সময় ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী উপস্থিত ছিলেন।