English Version
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৮:৩৭

রোহিঙ্গা ফেরাতে মিয়ানমার আগ্রহী

নিজস্ব প্রতিবেদক
রোহিঙ্গা ফেরাতে মিয়ানমার আগ্রহী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’র সফররত বিশেষ দূত ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চাও টিনের কাছে এই কড়া বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে মিয়ানমার চায় শুধুমাত্র সম্প্রতি আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা। অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে হবে। 

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পাঁচ দফার প্যাকেজ প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কর্মকৌশল প্রণয়ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য যথাযথ কমিটি গঠন এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দুটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। 

পাশাপাশি, বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছে। চাও টিন মিয়ানমার ফিরে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে এসব প্রস্তাব তুলে ধরবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। 

গত ১২ জানুয়ারি দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, মিয়ানমারের বিশেষ দূতের এ সফর জটিল বিষয়ে আলোচনার পথ সুগম করবে। এর ফলে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গত দু’মাসে সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমার থেকে এসে যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের ‘যাচাই-বাছাই করে’ ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে দেশটি আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। 

সফররত মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু জানাতে গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মাহমুদ আলী বলেন, ‘তাদের আগ্রহ দেখছি। তাদের আন্তরিকতায় আমরা আশাবাদী।’

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে রোহিঙ্গাদের যেন বারবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রয়োজন না হয়, সেরকম ব্যবস্থা নিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। সফররত মিয়ানমারের বিশেষ দূত চাও টিন’কে এমন বার্তাই দিয়েছে বাংলাদেশ। 

মিয়ানমারের দূতের বরাত দিয়ে মাহমুদ আলী জানান, সু চি’র বিশেষ দূত গত বছরের অক্টোবর মাসে তাদের দেশের সীমান্ত ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশের ভূমিকা ও সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ অক্টোবরে মিয়ানমারে সৈন্যদের ওপর হামলার পর সেনাবাহিনী সে দেশের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক নির্যাতন শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত চার মাসে প্রায় ৬৫ হাজার মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে যে ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে।