English Version
আপডেট : ৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৮:৪৭

২৩৬৭ গেরিলার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি রায় বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩৬৭ গেরিলার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি রায় বহাল

ঢাকা : বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ২ হাজার ৩৬৭ জন গেরিলাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা দেয়ার হাই কোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। 

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেয়। 

বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধরী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ঊর্মি রহমান।

২০১৩ সালের ২৪ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২ হাজার ৩৬৭ গেরিলা সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। তবে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ওই প্রজ্ঞাপনকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করে মন্ত্রণালয় আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই নতুন প্রজ্ঞাপন জারির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও বিশেষ গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার পঙ্কজ ভট্টাচার্য ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট নতুন প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করে রুল জারি করেন। 

রুলে নতুন প্রজ্ঞাপনটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

সেই রুলের ওপর শুনানি শেষে ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দানের নির্দেশ প্রদানের নির্দেশ দিয়ে রায় দেয় হাইকোর্ট। 

এ রায় স্থগিত চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৪ সেপ্টেম্বর আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ৯ অক্টোবর চেম্বার বিচারপতির হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে বিষয়টি ৩০ অক্টোবর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।  ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান এবং রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।

ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি গেরিলা বাহিনী গঠন করে মুক্তি সংগ্রামে অংশ নেয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্রসমর্পণ করে ওই গেরিলা বাহিনীর সদস‌্যরা।